শিরোনাম
◈ ভারত হামলা চালালে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে এক কোটি হিন্দু: পিপিপির সংখ্যালঘু সদস্য সঞ্জয় কুমার ◈ করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান ◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের কড়া নজরদারি: রিপোর্ট ◈ ইসলামপন্থি দলগুলো বিএনপি নাকি জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে? ◈ ইসরায়েল ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলে জ্বলছে, চাইলো আন্তর্জাতিক সহায়তা ◈ শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেশজুড়ে, ১০টি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ  আবহাওয়া অধিদপ্তরের  ◈ বাতিল হচ্ছে দেড়শ বছরের আইন: জুয়ার শাস্তি বাড়ছে ২ হাজার গুণ ◈ সৌদি আরবে ‘হুরুব’ আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ◈ চীন নারী ফুটবল দল পাঠাতে চায় বাংলা‌দে‌শে, পুরুষ ক্রিকেট দল‌কে চী‌নে আমন্ত্রণ

প্রকাশিত : ০১ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তুমুল বৃষ্টিতে ইবিতে 'রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস' কর্মসূচী 

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবি: [২] মুষুলধারে পরা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী সফলে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইবি শিক্ষার্থীরা।

[৩] বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পূর্বঘোষিত কর্মসূচী সফলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে মিছিলে অংশ নেন। পাশাপাশি গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন কর্মসূচি থাকলেও তা বৃষ্টির কারণে বাস্তবায়ন করতে পারেননি বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

[৪] এসময় মিছিলে শিক্ষার্থীরা আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই, হল গুলো বন্ধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই; ক্যাম্পাসে তালা কেন, প্রশাসন জবাব চাই; লাশের হিসাব কে দেবে, কোন কোটায় দাফন হবে?; তোর কোটা তুই নে, আমার ভাইকে ফেরত দে ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তাদের হাতে ‘স্টপ ডিকটরশিপ, উই ওয়ান্ট জাস্টিস অফ জেনোসাইড, এই ফাল্গুনেই আমরা দ্বিগুণ হচ্ছি তবে জেলখানায় নয় রাজপথে, সেইভ বাংলাদেশী স্টুডেন্টসসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

[৫] মিছিল শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, রোদ ঝড় বৃষ্টি যে আমাদের আটকে রাখতে পারবে না আপনারা তা আজকের কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। বলতে বাঁধা নেই, একটা স্বৈরাচারী রাজ্যে আমরা বসবাস করছি যারা জনগণের মতামত কে মূল্য দেয় না। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু সরকার আমাদের উপর হামলা মামলা দিয়ে আমাদের দমানোর চেষ্টা করলো। আমাদের পেছনে ফেরার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

[৬] তিনি আরও বলেন, তর্কের খাতিরে যদি আপনার আইন আদালতের কথা মেনেও নেই তবে আমার যে দুই শতাধিক ভাইয়ের রক্ত গিয়েছে তাদের দায় কে নেবে? খুনিরা বাইরে এখনো কিভাবে ঘুরে বেড়ায়? ছাত্রসমাজের সাথে লাগতে আসবেন না। ইতোপূর্বে যারা আমাদের সাথে লাগতে এসেছিল তাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। আমরা লড়াইয়ের শেষ দেখতে চাই। আমাদের কথা পরিষ্কার, রক্তের উপর দিয়ে আমরা কোন সংলাপে যেতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন তাহলে নিজের পদ থেকে সড়ে যান। 

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়