শিরোনাম
◈ ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী লিজার অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি-ভিডিও ভাইরাল, যা বলছেন তিনি ◈ ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের কপালে ভাঁজ! ◈ ‘অপারেশন সিন্দুর’ ভারতের আধিপত্যকে ক্ষুণ্ন করেছে ◈ আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, কিন্তু পাকিস্তানিরা আসলেই মেধাবী: ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ সন্তান লাভের আশায় প্রতারককে দিলেন ২৫ ভরি স্বর্ণ! (ভিডিও) ◈ ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ ◈ নির্বাচনের জন্য ঘেরাও করা লাগলে, এটা হবে দুর্ভাগ্যজনক: সালাহউদ্দিন আহমদ  ◈ গাইবান্ধায় দুই হ্যাকারের বাড়িতে অভিযানে যা পেলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (ভিডিও) ◈ সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে: তারেক রহমান ◈ রাজধানীর যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল ডিএমপি

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৬:২৬ বিকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তার বিরুদ্ধে টাকা সরানোর প্রমাণ আছে: গ্রামীণ ব্যাংক চেয়ারম্যান 

গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থে প্রতিষ্ঠিত ৭ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নন ড. ইউনূস

এম এম লিংকন: [২] গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক আইন অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ শক্তি নামক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদনে ও গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো মালিকানা বা শেয়ার নেই।

[৩] এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানি লন্ডারিং করেছেন এমন প্রমাণ হাতে রয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড এসব প্রতিষ্ঠান গড়তে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা সরিয়েছেন। গত সাত মাস নিরীক্ষা করে আমরা এমন তথ্য পেয়েছি। ড. ইউনূস ব্যবসার মুনাফা দিয়ে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান করেননি। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

[৪] তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪২তম সভায় কোম্পানি আইনের আলোকে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ কল্যাণ গঠিত  হয়। আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ নম্বর ধারায় বলা আছে, গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিতে পারবে। গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৪৪৭ কোটি টাকা নিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ২৪ কোটি টাকা অনুদান নিয়েছেন। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংককে সুদ ও লভ্যাংশ বাবদ কোনো টাকা দেয়নি।

[৫] গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম এসব প্রতিষ্ঠান নব্বইয়ের দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক আর্থিক তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তথ্য ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

[৬] শনিবার শনিবার মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী এই সাতটি প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ যাদের হাতে এ আইন তৈরি হয়েছে, তারা এ আইনি প্রক্রিয়াকে জবরদখল বলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছেন। 

[৭] গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেদিন গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫৫তম বোর্ড সভায় আইন অনুযায়ী সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

[৮] সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ টেলিকমের অ্যাডভাইজার জি এম জুবায়ের, লিগ্যাল অ্যাডভাইজার মাসুদ আক্তার, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক জাকারিয়া রহমান প্রমুখ উপস্থিত চিলেন। 

[৯] এর আগে বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, কোনো ধরনের এখতিয়ার বা সম্পর্ক না থাকলেও গ্রামীণ ব্যাংকের লোকজন গ্রামীণ টেলিকম ভবনে আটটি প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে জবরদখল করছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়