শিরোনাম
◈ নির্বাচনকে ভয় পেলে রাজনীতির দরকার নেই: আমীর খসরু ◈ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়েই চলছে সরকার! ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা: বোয়িংয়ের ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ, কাল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে প্রতিনিধি দল ◈ একনেকে ৮১৪৯ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন ◈ ময়মনসিংহে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা বাতিল ◈ উড্ডয়নের আগেই আগুন: আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ১৭৩ যাত্রী রক্ষা পেলেন বড় দুর্ঘটনা থেকে (ভিডিও) ◈ অদ্ভুত রেকর্ড গড়ে আবারও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ জুলাই সনদের খসড়া আগামীকালের মধ্যে রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হবে: আলী রীয়াজ ◈ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইন্টারনেট বন্ধের পর যা যা ঘটেছিলো ◈ এবার যে কারণে সেনাপ্রধানের প্রশংসা করলেন সারজিস আলম

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৫, ০৪:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা: বোয়িংয়ের ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ, কাল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে প্রতিনিধি দল

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। 

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'চুক্তির খসড়া পাওয়ার পর কয়েক দফায় আমরা কাজ করেছি। ওয়াশিংটনে দু'দফা সরাসরি এবং অনলাইনে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর ২৩ জুলাই আমরা আমাদের চূড়ান্ত অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি।'

তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চাওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) অফিসে ২৯ ও ৩০ জুলাই সরাসরি বৈঠক হবে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও বাণিজ্য সচিব উপস্থিত থাকবেন। ৩১ তারিখও একটি সভা হতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল আগামীকাল সন্ধ্যায় রওনা দেবে। যেহেতু তাদের সাথে আলোচনা চলছে ১ আগস্টের মধ্যেই হয়তো শুল্কের বিষয়ে ফলাফল হয়ে যাবে।

বোয়িং বিমান কেনার ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব বলেন, 'বোয়িংয়ের ব্যবসা যুক্তরাষ্ট্র সরকার নয়, বোয়িং কোম্পানি করে। বাংলাদেশ ২৫টি বোয়িংয়ের অর্ডার দিয়েছে। ভারত, ভিয়েতনাম ১০০টি করে অর্ডার দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া দিয়েছে ৫০টি। এরকম অর্ডার বিভিন্ন দেশ দিয়েছে। বোয়িং কোম্পানি তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সরবরাহ করবে। অর্ডারের বোয়িং পেতে অনেক সময় লাগবে। যাকে আগে অর্ডার দিয়েছে তাদের আগে দেবে কিংবা প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসার ধরন অনুযায়ী বিমান সরবরাহ করবে।' 

'বাংলাদেশের অতি দ্রুত কিছু বোয়িং দরকার। আগামী দু-এক বছরের মধ্যে হয়ত কিছু বিমান পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ বিমানের বহর বাড়াতে হবে। এই পরিকল্পনা সরকারের আগে থেকেই ছিলো। আগে ১৪টি বোয়িংয়ের অর্ডার ছিলো। রেসিপ্রোকাল ইস্যুতে ২৫টি করা হয়েছে,' যোগ করেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার, হ্যাঙ্গার বোয়িং নির্ভর। তাই বোয়িং কিনতে হবে। পাশাপাশি এয়ারবাস বা অন্যান্য বিমান যে কিনব না, তেমন নয়। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকেই কেনা হবে সেটি বলা হয়নি।' 

গম আমদানির প্রসঙ্গে মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারি ও বেসরকারি খাতে বছরে প্রায় ৯ মিলিয়ন টন গম আমদানি করা হয়। কখনোই একটি দেশ থেকে পুরোটা আনা হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও আমদানি হতো। এখন রেড সি [লোহিত সাগর] এলাকায় পরিস্থিতির কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা আগের মতো নেই। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার ওপর নির্ভরশীলতা রাষ্ট্রীয় স্বার্থেই প্রয়োজন।

তিনি বলেন, 'রাশিয়া, ইউক্রেন থেকে গম আনা হয়। কিন্তু তারা আমাদের কাছ থেকে নেয় না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৮ বিলিয়ন কেনে। যা আমার কাছ থেকে কেনে, সুতরাং তার কাছ থেকেও আমাদের কেনা উচিৎ। আমাদের একটু অগ্রসর হওয়া উচিৎ। বেসরকারি খাতকে অনুরোধ করেছি সেখান থেকে কিনে শুল্ক ইস্যুতে সহায়তার জন্য।' 

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে সয়াবিন ও তুলা আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা সয়াবিন আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তুলা আমদানি নিয়ে আগেই আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির মধ্যে বিনিয়োগের বিষয় থাকলেও সেটিকে মুখ্য বিষয় মনে করছেন না বাণিজ্য সচিব। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। তাদের উদ্দেশ্য এই বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, সেজন্যই রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানির কারণে বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, 'সুবিধা আছে বলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকেই বিভিন্ন জিনিস আমদানি করা হয়। অসুবিধা থাকলে ব্যবসায়ীরা আনতো না। সরকার কাউকে চাপ দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনার প্রভাব বাজারে পড়বে না।' 

চীন থেকে উৎপাদন স্থানান্তরের বিষয় উল্লেখ করে সচিব বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চাপের কারণে চীনের ওপর প্রভাব বেশি পড়ছে। উৎপাদন অন্যত্র স্থানান্তরের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশও সুযোগ নিতে পারে।'

তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ প্রতিযোগীদের চেয়ে বেশি শুল্কের শিকার হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য সচিব। তিনি বলেন, 'ভিয়েতনাম বা ভারতের মতোই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ—এমনটাই প্রত্যাশা।' উৎস: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়