বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ ও সম্মানিত ব্যাংকিং গন্তব্য হিসেবে সুইজারল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয়। সুইস ব্যাংকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে যে সুবিধাগুলি পাওয়া যায়, তা নিম্নরূপ:
বিশ্বমানের ব্যাংকিং সুবিধা ও খ্যাতি: সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকসমূহ বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ বিবেচিত।
ব্যক্তিগত বিনিয়োগ পরামর্শ: প্রতিটি গ্রাহকের জন্য থাকে বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতার ব্যবস্থা।
আমানতের নিরাপত্তা: সুইস ব্যাংকে রাখা অর্থ সরকারি গ্যারান্টি ও বীমার মাধ্যমে সুরক্ষিত।
গোপনীয়তা ও ব্যাংকিং সিক্রেসি: সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকিং গোপনীয়তা আইনি কাঠামোর মধ্যে দৃঢ়ভাবে সংরক্ষিত।
উচ্চমানের ভিআইপি ও প্রাইভেট ব্যাংকিং পরিষেবা: ব্যক্তিগত ব্যাংকার ও বিশেষায়িত পরিষেবা পাওয়া যায়।
উন্নত অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা: ভিডিও কল বা ইউক্রেনে বসে ব্যাংকারের সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব, সুইজারল্যান্ড না গিয়েও।
সুইস ব্যাংকের বেশিরভাগই প্রাইভেট ব্যাংকিং এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার (Wealth Management) ওপর কেন্দ্রীভূত। তাই যারা বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাদের জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত। যদিও বিনিয়োগ থেকে উল্লেখযোগ্য মুনাফা সব সময় নিশ্চিত নয়, তবে তহবিলের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে।
সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার খরচ তুলনামূলকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। এর মূল কারণ:
কঠিন কমপ্লায়েন্স বা যাচাই প্রক্রিয়া;
নূন্যতম জমা ও ব্যালেন্স রাখার বাধ্যবাধকতা, যা পূরণ না করলে মাসিক চার্জ কাটা হয়;
ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ ও ফি মূলত ধনাঢ্য গ্রাহকদের জন্য নির্ধারিত।
সাধারণত অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিচের বিষয়গুলো দরকার হয়:
পরিচয় ও ঠিকানা প্রমাণপত্র;
আয়ের উৎস ও অর্থের বৈধতার দলিল;
নির্দিষ্ট নূন্যতম পরিমাণ জমা;
প্রয়োজনে আইনজীবীর সহায়তা।
সুইস ব্যাংকে বিনিয়োগ বা অ্যাকাউন্ট খোলার আগে, বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া শ্রেয়। এতে প্রক্রিয়াটি সহজ হবে এবং নির্ধারিত ব্যাংকের শর্তাদি স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
উৎস: azolalega