শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:১৩ বিকাল
আপডেট : ১৫ মে, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৮ দিনে এলো ১৪৭২৩ কোটি টাকা, ৯টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স

নতুন বছরের প্রথম মাসের (জানুয়ারির) ১৮ দিনে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন গড় রেমিট্যান্স আসছে প্রায় ৮১৮ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে পুরো জানুয়ারিতে তা দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারির প্রথম ১৮ দিনে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আলোচিত সময়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৯ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।

১৮ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এরমধ্যে রয়েছে সরকারি খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে একক কোনো মাস হিসেবে বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি।

অতীতে কখনোই একক কোনো মাসে এতো পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এরও আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সেই রেকর্ডও ভেঙে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বরে) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়