শিরোনাম
◈ এসএমই মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ ১১ বছর পর পঞ্চমবার এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশের বাবর আলী ◈ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফের বাস্তুচ্যূত ৯ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ আরাকান আর্মির শহর দখল, বাড়িঘর জ্বালিয়ে ফের রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ◈ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩ ◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২৪, ০৮:৫১ রাত
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৪, ০৮:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টানা ২ বছর বিশ্ববাজারে কমবে ৬ পণ্যের দাম: বেশি সুখবর নেই বাংলাদেশের   

সালেহ ইমরান: [২] চলতি ও আগামী অর্থবছরে বিশ্ববাজারে ছয়টি আবশ্যকীয় পণ্যের দাম কমবে। এই কমার হার হবে এ বছর ৩ শতাংশ  এবং আগামী বছর ৪ শতাংশ। তবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে ২ শতাংশ এবং স্বর্ণ ও তামার দাম বাড়বে ৮ শতাংশ ও ৫ শতাংশ। সম্প্রতি পণ্যবাজার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের করা এক পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। (ওয়াশিংটন পোস্ট ০৫-০৫-২০২৪) 

[৩] তবে বিশ্ববাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশের জন্য এই সুখবর তেমন স্বস্তির বার্তা বয়ে আনতে পারবে না। কারণ জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল ও তুলার মতো বাংলাদেশ যেসব পণ্য বেশি আমদানি করে সেগুলোর দাম বিশ্ববাজারে বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। তবে দাম কমলেও সেই দাম করোনা পূর্ববর্তী ২০২০ সালের দামের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি হবে।(বণিক বার্তা ০৫-০৫-২০২৪)

[৪] পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২২ সালের মধ্যভাগ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ। এর ফলে ওই সময়ে বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতি কমেছিলো ২ শতাংশের কাছাকাছি। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের জন্য পণ্যের বাজরে উচ্চমুখী চাপ তৈরি করেছে মূলত তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি।   

[৫] ২০২৩ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম ছিলো ব্যারেলপ্রতি সাড়ে ৮২ ডলার। চলতি বছর সেটা বেড়ে ৮৪ ডলার এবং আগামী বছর আবার কমে ৭৯ ডলারে নেমে আসতে পারে। বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি তেল আমদানিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে।  দ্বিতীয় প্রধান আমদানি পণ্য হলো তুলা। এ বছর তুলার কেজি হতে পারে ২.১৫ ডলার এবং আগামী বছর আরো ৫ সেন্ট বাড়তে পারে। (বিবিসি ০৫-০৫-২০২৪)

[৬] পামতেল ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ারও পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি টন পাম তেলের দাম হতে পারে ৯০৫ ডলার আর সয়াবিন তেলের দামও ১ হাজার ১১৯ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ১৩০ ডলার হতে পারে। 

[৭} ইউরিয়া সারের দাম টনপ্রতি ৩৫৮ ডলার থেকে কমে ৩৫০ ডলার হতে পারে। একইভাবে এলএনজি ও কয়লার দাম কমার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। কয়লার দাম গত বছরের টনপ্রতি ১৭৩ ডলার থেকে কমে ১২৫ ডলার হতে পারে। আর এলএনজির দাম ১৪ ডলার কমে হতে পারে সাড়ে ১২ ডলার। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানি পণ্য চিনির দাম কেজিপ্রতি ০.৫২ ডলার থেকে ০.৫০ ডলারে নেমে আসতে পারে। প্রতি টন গমের দাম ৩৪০ থেকে ২৯০ ডলারে নেমে আসতে পারে। পোল্ট্রিফিডের জন্য আমদানি করা ভুট্টার দামও কমতে পারে। (বিডিনিউজ ০৬-০৫-২০২৪)

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়