শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৪, ১১:৫০ দুপুর
আপডেট : ০৩ মে, ২০২৪, ০৬:০৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গরমকে পুঁজি করে শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে! 

শাহীন খন্দকার: [২] নিত্যপণ্যের বাজার আবারও চড়া। দাম বেড়ে গেছে শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যেরই। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর মোহম্মদপুর কৃষি কাঁচাবাজার, আদাবর উত্তর বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তীব্র গরমে দেশের সবজি বাগান পুড়ে যাওয়ার ফলে সবজির দাম বেড়েছে। সেই সাথে মরে যাচ্ছে মুরগীসহ মরে যাচ্ছে পুকুরে চাষ করা মাছ। ফলে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সোনালি মুরগি, পেঁপে ও কাঁচা মরিচের দাম। এতে কমেছে বেচা-বিক্রিও। বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৫০-৮০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা ও চিচিঙা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

[৩] এছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, লতি ৫০-৮০ টাকা, আলু ৫০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম চড়েছে পেঁপে ও কাঁচা মরিচের। প্রতিকেজি পেঁপে ৮০ টাকা  ও কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

[৪] সবজি বিক্রেতা খায়ের বলেন এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় পেঁপের উৎপাদন কম হয়েছে। তাই সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বেড়েছে। তবে কোরবানির আগে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে পেঁপের। ক্রেতাদের দাবি, গরমকে পুঁজি করে শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যাতে পকেট কাটছে ভোক্তার।  বাজারে মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। ব্রয়লার ছাড়া বেড়ে গেছে সব ধরনের মুরগির দাম। কেজিতে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০-৪০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩২০-৩৩০ টাকা ও দেশি  মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭২০ টাকায়।

[৫] তবে কেজিতে ১০-২০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও।

[৬] বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দামই চড়া। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

[৭] তীব্র এই গরমের কারণে বাজারে মাছ তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দামও কমছে না। অপরিবর্তিত আছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম; প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আটার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমে খোলা আটা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং দুই কেজির প্যাকেট আটা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই।

[৮] এদিকে ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং হচ্ছে না। এতে ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে। সম্পাদনা: রাশিদ 

এসকে/আর/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়