কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী: [২] চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় মায়ের দোয়া বেকারিতে সহকর্মীদের হামলায় শাহ আলম (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] নিহত শাহ আলম সাতকানিয়ার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রুপ কানিয়া ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মাইজপাড়া জাহাঙ্গিরের বাড়ীর মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র।
[৪] শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বেকারি থেকে নিহত শাহ আলমের লাশ বাঁশখালী থানা পুলিশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেকারির কয়জন সহকর্মীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান বাঁশখালী থানার এসআই (সেকেন্ড অফিসার) মোঃ কায়কোবাদ।
[৫] জানা গেছে, নিহত শাহ আলম বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ মায়ের দোয়া বেকারিতে শ্রমিকের কাজ করতো। এখানে সে প্রায় দুই বছর ধরে আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বেকারিতে ভাত খেতে বসে শাহ আলমের সাথে বেকারির আরেক শ্রমিক পৌরসভার পূর্ব-জলদী লস্কর পাড়া সিন্নিপুকুর পাড় এলাকার মাহাবুব আলমের সাথে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। বেকারির মালিক এজহারুল হক দুইজনকে ডেকে সরিয়ে দেন। শুক্রবার ভোরে শাহ্ আলমকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেকারিতে পড়ে থাকতে দেখে সহকর্মীরা। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৬] এ বিষয়ে বেকারির মালিক এজহারুল হক জানান, গতকাল দুপুরে নিহত শাহ আলমের সাথে মাহাবুব আলমের কথা কাটাকাটি মারামারির খবর পেয়ে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাতে শাহ আলম সহ ৭/৮জন শ্রমিক বেকারিতে ছিলেন। মাহাবুব প্রতিদিন বাড়িতে চলে যায়, সকালে আসেন কাজে। ঘটনার রাতে শাহ আলমের সাথে থাকা কয়েকজন শ্রমিক শুক্রবার ফজরের নামাযের জন্য মসজিদে চলে যায়। শাহ্ আলম উঠে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। নামাজ শেষে আসা শ্রমিকরা শাহ আলমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
[৭] এদিকে নিহত শাহ আলমের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৮] বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শুধাংশু শেখর হাওলাদার জানান, বেকারির শ্রমিক শাহ আলমকে হত্যার যে ঘটনা ঘটেছে তার কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও সন্দেহজনক মাহবুব আলম নামে একজন পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :