শিরোনাম
◈ পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ যেন পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত না হয়: যুক্তরাষ্ট্র ◈ পাক-ভারত সংঘাতের কার‌ণে ‌পিএসএল পাকিস্তান থেকে সরে গেলো আরব আ‌মিরা‌তে  ◈ অ‌নেক ঘাম ফে‌লে চেল‌সি কনফারেন্স লিগের ফাইনালে উঠ‌লো ◈ ইউরোপা লি‌গের ফাইনা‌লে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ◈ আ.লীগ বা সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে পারে: আসিফ নজরুল ◈ ভারত বলছে তিনটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, পাকিস্তানের অস্বীকার ◈ যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে আ.লীগকে: নাহিদ ইসলাম ◈ সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে পুলিশ (ভিডিও) ◈ লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে ভারত ◈ পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হলেন আমেরিকান রবার্ট প্রিভোস্ট

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:০৮ রাত
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৩

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় একটি ভবনে সুমন সাহা (২৬) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালান আর মাদক ব্যবসার লেনাদেনা নিয়ে মনোমালিন্য। মাদকের আড্ডায় স্বর্ণ কিনতে যাওয়ার প্রস্তাব। এরপর বিভিন্নজনের কানাঘুষায় খুনের পরিকল্পনার সন্দেহ। এই সন্দেহ থেকেই ব্যাচেলর বাসায় দলবল নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় সুমন সাহাকে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

[৩] মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চন্দনাইশের বরমা ইউনিয়নের বাইনজুরী এলাকার মৃত ইছহাক মিয়ার ছেলে মফিজুর রহমান দুলু (৫৬), কোতোয়ালী থানার আলকরণ এলাকার মো. গোলাম মোস্তাফার ছেলে মো. মামুন (৩৮) ও জুবিলি রোড এলাকার আব্দুল আলী সওদাগরের ছেলে নুর হাসান রিটু (২৮)।

[৪] উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, নিহত সুমন মাদক সেবনরত অবস্থায় দুলুকে স্বর্ণ কেনার জন্য টেকনাফ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। ওই বিষয়টি মামুন জানতে পেরে দুলুর মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয় যে- সুমন দুলুকে মারার জন্য লোক ঠিক করেছে। তাকে টেকনাফ নিয়ে যাবে বলেছে তার জন্য কয়েকজন লোকও ঠিক করেছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে কয়েকজন লোককে দিয়ে দুলুর রিয়াজউদ্দিন বাজারস্থ অফিস রেকি করিয়েছে। এই বিষয়ে সন্দেহ ঢুকায় ভিকটিম সুমন গত ২৬ নভেম্বর রাতে দুলুর ভাড়াকৃত রুমে মাদক সেবন করতে গেলে সেখানে সুমনে আটকে রাখে এবং তাকে (দুলু) মারার জন্য কাকে ঠিক করেছে এবং বাসা- অফিস কেন রেকি করিয়েছে তা বারবার জিজ্ঞেস করে। এ বিষয়ে কোনো তথ্য না দেওয়াতে দুলু ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি, দিয়ে মারধর করে সুমনের কাছ থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মামুন ও নুর হাসান রিটুদেরকে দিয়ে মারধর করে তথ্য বের করার চেষ্টা করেও না পেয়ে সুমনকে হাত বেধে উলঙ্গ করে এলোপাতাড়ী মারধর করে হত্যা করা হয়।

[৫] আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে (সুমন) মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও জানায়, ভিকটিম সুমন দীর্ঘদিন ধরে আসামি দুলুর রিয়াজউদ্দিন বাজারস্থ ভাড়াকৃত রুমে আসা যাওয়া করতো এবং সেখানে গিয়ে তারা সবাই একসাথে মাদক সেবন করতো। আসামি দুলু ও ভিকটিম সুমন স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ছিল।তাদের মধ্যে লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সম্পাদনা: এ আর শাকিল   

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়