এস এম সাব্বির, গোপালগঞ্জ: টুঙ্গিপাড়ায় ধর্ষণের শিকার এক স্কুল ছাত্রী (১৪) পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (৩১ মে) রাতে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় কেরামত ফরাজীকে (৪৫) আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশুরিয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্তকেরামত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বাঁশুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কেরামত ফরাজী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশুড়িয়া গ্রামের মৃত বাদশাফরাজির ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিন্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় ১০ মাস আগে ওই স্কুল ছাত্রীর মায়ের নামে একটি সরকারি টয়লেট বরাদ্দ হয়। প্রতিবেশী কেরামত রাজমিস্ত্রি হিসেবে তাদের বাড়িতে ৩ দিন কাজ করে ওই টয়লেট নির্মাণ করে দেন। সেই সুবাদে মেয়ের পরিবারের সাথে তার সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। পরে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাতায়াত করার সময় মাঝেমধ্যে চকলেট আইসক্রিম কিনে দিত কেরামত। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দেয়। ছাত্রী রাজি না হলে কেরামত তামাশা করেছে বলে তাকে জানায়। পরে গত ২ ডিসেম্বর রাত দেড়টায় প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী বাইরে গেলে কেরামত জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়া ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বললে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবে ও তার মাকে খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দেয় কেরামত।
ওই স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, গত ২২ মে আমারে মেয়ে বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার সন্দেহ হয়। তখন ডাক্তারি পরীক্ষা করালে মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেন। এরপর বুধবার রাতে টুঙ্গিপাড়া থানায় কেরামত ফরাজীকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।
টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করার পরে ওই রাতেই কেরামতের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত কেরামতকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/একে