মাসুদ আলম : রাজধানীর উত্তর সায়দাবাদ হাজী বোরহান উদ্দিন টাওয়ার সংলগ্ন আলকারিম হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহকারী মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে আমদানি নিষিদ্ধ ও ভয়ংকর মাদক এক কেজি ৭০০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ঢাকা গোয়েন্দা ইউনিট। উদ্ধারকৃত আইসের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। যার প্রতি গ্রাম পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) গেন্ডারিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দক্ষিণ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ও ২০২০ সাল থেকে আইস পাচারের সঙ্গে জড়িত জাহাঙ্গীর আলম। আইসের দাম বাড়ায় ও লাভ বেশি হওয়ায় ইয়াবার সঙ্গে আইস কারবারেও জড়ান। আগে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবা-আইস ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। পরে নিজেই টেকনাফ থেকে ইয়াবা-আইস ঢাকায় এনে বিক্রির জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর।
তিনি আরও বলেন, পেশায় সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাস চালক জাহাঙ্গীর। বাস চালানোর আড়ালে মূলত ইয়াবাসহ আইসের চালান নিয়মিত কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় আনতেন তিনি। মাদক কারবারে জড়িত থাকায় ইতিপূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিল জাহাঙ্গীর। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে পুনরায় মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। জাহাঙ্গীর হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার মাধবপুর বাজারের মৃত আলী আশরাফের ছেলে। মেহেদি হাসান বাগেরহাট সদরের মৃত আলতাফ শেখের ছেলে। টেকনাফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইসের চালান রাজধানীতে নিয়মিত আনতেন জাহাঙ্গীর। তিনি আইস কারবারের মূলহোতাও।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আল আমিন বলেন, আইস মূলত উচ্চমূল্যের মাদক। এ কারণে অভিজাত এলাকার ক্রেতারাই এটি বেশি সেবন করে। আইস ঢাকার ভেতরেই বেশি ব্যবহার হয়। গ্রাম বা মফস্বলে এখনো এর বিস্তার ঘটেনি। তবে এ ধরনের মাদক যেন সারা দেশে মাদক কারবারিরা পাচার বা বিক্রি করতে না পারে সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এমএ/এএ