শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৪, ০৫:১৯ বিকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২৪, ০৫:১৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৯৫ লাখ টাকায় কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত হয়ে ভায়রাকে অপহরণ, চক্রের সাত সদস্য গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী: [২] গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- অপহরণ চক্রের মূলহোতা খোকন হাজী, তার সহযোগী মো. আরিফ হোসেন (৫৫), সাইফ উদ্দিন আহমেদ মিলন (৬২), সিরাতুল মোস্তাকিম (৫৮), মো. রুহুল আমিন (৬০), মো. জাকির হোসেন (৩০) ও মো. স্বাধীন (৫২)। তাদের কাছ থেকে রিভলবার, ৮ রাউন্ড গুলি ও শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। 

[৩] বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় অপহৃত আনোয়ারের হোসেন খানকে (৪৪) উদ্ধার করা হয়েছে।

[৪] শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর বলেন, ১ মে রাত ৮টার দিকে ফতুল্লার তুষারধারায় একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে খোকন হাজীর নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একটি অপহরণকারী চক্র দোকান কর্মচারী আনোয়ারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া এলাকায় খোকনের মালিকানাধীন চুনকুটিয়া রিয়েল এস্টেট লিমিটেড অফিসে তাকে আটকে রাখা হয়। অপহরণকারীরা আনোয়ারের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তার পরিবারের কাছে ৯৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

[৫] জীবন বাঁচাতে অপহরণকারী চক্রের দেওয়া একটি ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠায় আনোয়ারের পরিবার। এরপর আরও টাকার দাবিতে নির্যাতন চালাতে থাকে। এমনকি টাকা না দিলে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

[৬] র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, অভিযোগ পেয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল কেরানীগঞ্জের অপহরণকারী চক্র ও অপহৃতের অবস্থান শনাক্ত করে। খোকনের অফিসে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। খোকন ২০১৫ সাল থেকে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য পিতলের ধাতব মুদ্রা ভারতে পাচার করছিলেন।  

[৭] তিনি জানান, কষ্টিপাথরের মূর্তি ও পিতলের ধাতব মুদ্রার মূল ক্রেতা ছিলেন মিলন চক্রবর্তী। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ধাতব মুদ্রার ৭টি চালান ভারতে পাচার করেন খোকন হাজী। তার এই কাজ নাঈম, মোস্তফা হাওলাদার ও রবি নামের কয়েকজন সহযোগী বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে করতেন। বিনিময়ে তাদের মাসে ৩০ হাজার টাকা করে বেতন দিতেন খোকন।

[৮] খোকন হাজী একজন ঠিকাদার। মতিঝিল এলাকায় তার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯৭৫ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে খোকন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য ধাতব মুদ্রার কারবার করছিলেন। এই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার সহযোগীরাও কষ্টিপাথর ও ধাতব মুদ্রার কারবারের সঙ্গে জড়িত। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়