সুজন কৈরী: [২] গ্রেপ্তারকৃত যুবক হলেন- শাকিল ওরফে রুবেল। তিনি দেড় হাজারেরও বেশি ছিনতাইয়ে জড়িত এবং আগেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৩] জানা যায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্য পরিচয়ে চলাফেরা করতেন শাকিল। পরতেন পুলিশের পোশাক। মাথায় ক্যাপ, কোমরে পিস্তল বহনকারী শাকিলকে খালি চোখে দেখে চেনার উপায় নেই যে, তিনি নকল পুলিশ।
[৪] কেরানীগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের নজরে আসে একটি প্রাইভেটকার। পুলিশের স্টিকার সম্বলিত গাড়িটির পেছনের সিটে তারা একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে দেখতে পান। গাড়ি থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। পুলিশের কোন্ ইউনিটে কাজ করেন, বিপি নম্বর কত ইত্যাদি জানতে চাইলে মেলে না সদুত্তর। একপর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি আসলে নকল পুলিশ।
[৫] গ্রেপ্তারের পর তার পিসিপিআর যাচাই করে পুলিশ দেখতে পায়, শাকিলের নামে মামলা আছে ১২টি। গত বছরের ডিসেম্বরে জামিনে বের হয়েছেন। সবশেষ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রথমে অপহরণ এবং পরে ছিনতাইয়ের ঘটনায়। ওই ঘটনায় তখন বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিলো। দেড় হাজারের বেশি ছিনতাই এবং অসংখ্য নারীকে ধর্ষণের তথ্য পেয়েছিলো পুলিশ।
[৬] কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির জানান, শাকিলের মূল টার্গেট নারী। শুধু ছিনতাই নয়, সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করেন তিনি।
[৭] শাকিলের পাতা ফাঁদ সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রথমে কোন নারীকে টার্গেট করে তাকে বলে আপনাকে চেক করতে গেলে নারী পুলিশ লাগবে। আমার সাথে নারী পুলিশ নেই। সামনে আমাদের নারী পুলিশ আছে। আপনি গাড়িতে উঠেন। এরপর ওই নারী গাড়িতে উঠলে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে তার সাথে থাকা সব অর্থ-স্বর্ণ লুট করে তাকে ছেড়ে চলে আসতেন।
[৮] রাজধানীর দুটি হোটেলে মাসের পর মাস রুম বুকিং করে রাখার পাশাপাশি কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এবং যাত্রাবাড়িতে আলিশান বাড়িও তৈরি করেছেন শাকিল জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির বলেন, নারীদের তার পাতা ফাঁদে ফেলতে পারলে ওই দুই বাড়ির যে কোন এক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন শাকিল। ঈদ সামনে রেখে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছিল শাকিল- এমন তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। সম্পাদনা: এল আর বাদল
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :