শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৪, ০৭:৫৯ বিকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৪, ০৭:৫৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার

সুজন কৈরী: [২] গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা হলেন- মো. আলমগীর (৩১) ও মো. রাজিব (২২)। তারা ২০২১ সালে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকায় পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।

[৩] বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩। 

[৪] শুক্রবার ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মিলে গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন। 

[৫] তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় যারাই বাধা সৃষ্টি করতেন, তাদের ভয়-ভীতি দেখাতেন গ্রেপ্তার হওয়াররা। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স আসিফ আসামি জিন্নাত আলীর কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেন। এতে আলমগীর ও রাজিবসহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। 

[৬] পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় প্রধান আসামি জিন্নাত এবং তার সহযোগী আলমগীর ও রাজিবসহ আরও বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়।

[৭] এএসপি শামীম হোসেন আরও বলেন, এরপর তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নেন। মেরাদিয়া নয়াপাড়ার সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে পৌঁছানোর পর আগে থেকে অবস্থান করা আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে ঝাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করেন। আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আসিফকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

[৮] এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখপূর্বক ৫/৬ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

[৯] এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত জিন্নাত আলী এবং তার এক সহযোগীকে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৩ কর্তৃক গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ১৬৪ ধারায় জিন্নাতের জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার আলমগীর এবং রাজিব এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসকে/এসসি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়