আব্দুল্লাহ আল আমীন: অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে। এতে ৭ টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখনো পানি বন্দি রয়েছে ৩০ টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
ইতোমধ্যে কয়েকটি গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের সোহাগীপাড়া ও চারুয়াপাড়া গ্রামসহ আরো ৫-৬ টি গ্রামের কিছু অংশ, ঘোষগাঁও ইউনিয়নের ভালুকাপাড়া, জরিপাপাড়া, গলাভাঙা ও বালিগাও গ্রামের কিছু অংশ, বাঘবেড় ইউনিয়নের মেকিয়ারকান্দা, ডোমঘাটা ও শালকোনা গ্রামের কিছু অংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ঘোষগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন ওর রশিদ বলেন, 'নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে আমাদের ইউনিয়নের প্রায় ৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। '
এখনো পানিবন্দি রয়েছে সদর ইউনিয়নের দর্শা, ধাইরপাড়া, বলরামপুর, গুজিরকান্দি, বাঘড়া ও পঞ্চনন্দপুর গ্রাম। এছাড়া পুড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই, কাশিনাথপুর, চন্ডারচর, বতিহালা, কালিনগর, গুপিনপুর, ধলাুয়াকান্দা, হরিন্দরা, আঙ্গুরাকান্দা, রায়কান্দুলিয়া, বহরভিটা, পুর্ব বতিহালা, রাউতি, বেতগাছিয়া, চরেরভিটা, কাউয়াকান্না, পুটিয়ারকান্দা,মদনপুর,টিগুরিয়া,রাজদেওমা, গুইঙ্গাজুড়ি ও পুড়াকান্দুলিয়াসহ প্রায় ২০ টি গ্রাম।
পুর্ববতিহালা গ্রামের আব্দুল হামিদ, ওমর আলী জানান, আমাদের সকলের ঘরে পানি, রান্না করে খেতে পারছি না। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোন লোক ত্রাণ সহায়তা করতে আসেনি।
কালিনগর গ্রামের রহমত আলী, বাড়িতে পানি উঠে আমার ঘর ভেঙে গেছে। এতো পানি হবে বুঝতে পারিনি। কোন মতে নৌকা দিয়ে পরিবার নিয়ে বেঁচে আছি।
পুড়াকান্দুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, এই ইউনিয়ন নিচু এলাকা হওয়ায় বন্যার পানিতে সকল গ্রাম প্লাবিত হয়। এখনো পুরোপুরি পানিবন্দি ২০ টির মতো গ্রাম। কয়েকটি এলাকায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বাকিগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, 'পানিবন্দিদের জন্য স্থানীয়ভাবে শুকনো খাবার সহায়তা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে পানিবন্দি ১ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।