কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম): বাঁশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিরল প্রজাতির ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার করেন। এ সময় এক পাচারকারিকে আটক করা হয় পরে তার দেওয়া তথ্যমতে মূল পাচারকারি মিজানুর রহমানকে আনোয়ারার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে কারসহ আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৬ মে) সকালে আটককৃত বাগেরহাটের সরন খোলা এলাকার মিজানুর রহমান (৪২) এবং সিএনজি চালক চকরিয়ার পানখালী এলাকার মোহাম্মদ সেলিমকে (৫২) ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, বান্দরবনের লামা আলীকদম থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া পেকুয়া হয়ে বিরল প্রজাতির ৪টি ধনেশ পাখি পেকুয়া বাঁশখালী সড়ক হয়ে যাচ্ছে এমন খবরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ৪টি চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় কালীপুরের গুনাগরি নামক স্থানে গেলে সিএনজিতে বিশেষ কায়দায় পাহাড়ি বাঁশের ভেতরে রক্ষিত ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত রাজ ধনেশ পাখির বাজার মূল্য ৭/৮ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে জানা যায়।
আটক সিএনজি চালক মোহাম্মদ সেলিম পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, সে দীর্ঘদিন যাবত নানা ধরনের বিরল বন্য প্রাণি ৭/৮ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময় লামা আলীকদম, চকরিয়া এলাকা থেকে চট্টগ্রাম ও আনোয়ারায় পৌঁছে দিত। সেখান থেকে মূল পাচারকারি অন্যত্র নিয়ে যেত।
জানা যায়,পৃথিবী ব্যাপী ৫৬ প্রজাতির ধনেশ থাকলেও বাংলাদেশে ৪ প্রজাতির ধনেশ আছে। ধনেশ ঠোঁটের সাহায্যে আহার (শক্ত কীটপতঙ্গ ও ফল গুঁড়ো করে), লড়াই, পালক পরিষ্কার ও বাসা গোছানোসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। পুরুষ পাখি আকারে স্ত্রী পাখি থেকে সামান্য বড়। প্রতি প্রজাতির ধনেশের স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর রয়েছে। অধিকাংশ ধনেশই স্থবির স্বভাবের এবং একটি নিজস্ব এলাকার সীমানার মধ্যেই জোড় হিসেবে বাস করে, যা ১০ হেক্টর থেকে ১০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :