রেমবো ত্রিপুরা, থানচি (বান্দরবান): নিরাপত্তাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা অমান্য করে বান্দরবানের থানচিতে ভ্রমণ করায় পাঁচ পর্যটকসহ পর্যটক গাইড বুদ্ধি চন্দ্র ত্রিপুরা'কে দু'হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক গাইডসহ পাঁচ পর্যটকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহা. আবুল মনসুর। পর্যটকেরা হলেন- কুমিল্লা জেলা বাসিন্দা হৃদয় কুমার রায় (২২), দীনবন্ধু কর্মকার (২৪), সাজ্জাদ হোসেন (২৫), সৌমেন মজুমদার (২৪) ও অপূর্ব দেবনাথ (২৩)।
জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা থেকে আসার পাঁচ পর্যটকদের নিয়ে গত ১৫ মার্চ পর্যটন কেন্দ্র জিন্না পাড়ায় আমিয়াখুম, ঙাফাখুম, সাতভাইখুমসহ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র স্থানে ভ্রমণে যান থানচি উপজেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত পর্যটক গাইড বুদ্ধি চন্দ্র ত্রিপুরা। এই পাঁচ পর্যটকদের গন্তব্য স্থান ভ্রমনে ছয় দিনের সোমবার উপজেলা সদরে পৌঁছালে খবর পেয়ে থানচি থানা-পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমাম আলী বিজিবি চেক পোস্ট থেকে তাঁদের ইউএনও এর কার্যালয়ে হাজির করেন। পরে ইউএনও মুহা. আবুল মনসুর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা সত্যতা স্বীকার করায় গাইডকে এক হাজার ও পাঁচ পর্যটককে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও মুহা. আবুল মনসুর জানান, ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় একজন গাইডসহ পাঁচ পর্যটকদের জরিমানা করা হয়েছে। পরে তাদের থানচি উপজেলা থেকে চলে যাওয়ার নিদের্শনা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যৌথ অভিযানে স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ১৪ মার্চ রাতে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির স্বাক্ষরিত এক পত্রে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :