মো. শাহজালাল, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামে সন্দেহ ভাজন আসামিকে ধরতে শুক্রবার মধ্যরাতে অভিযান চালায় র্যাব। র্যাবের টিম সিভিল পোষাকে থাকায় তারা ডাকাক সন্দেহে তাদের বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে র্যাব গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল কাশেম (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। হুমায়ুন নামে একজন আহত। ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
সাদিপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য (স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার) মাঈন উদ্দিন জানান, রোজিনা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ি বড়গাঁও গ্রামের আমীর আলীর ছেলে সেলিম (২৩) নামে এক যুবককে সন্দেহজনক হিসেবে ধরতে আসে র্যাবের সিভিল টিম। এ সময় স্থানীয়রা র্যাবকে ডাকাত বলে সন্দেহ করে।
র্যাব তাদের সন্দেহ দুর করতে নিজেদের পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) দেখায়। তারপরও স্থানীয়রা অভিযানে আসা র্যাব সদস্যদের ডাকাত বলে সন্দেহ করে তাদের সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু করে উত্তেজিত হয়ে ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করে।
এমতাবস্থায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে র্যাব আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। সে সময় গুলিতে ওই গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে আবুল কাসেম নিহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ হোন একই গ্রামের রহমত আলীর মেয়ে স্বামী হুমায়ুন। হুমায়ন রহমত আলীর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতো।
স্থানীয়রা জানান, নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালানো প্রশাসনিক কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার সোনারগাঁয়ে এই অবৈধ গুলির তীব্র নিন্দা জানাই এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিন জানায়, সেলিমের মোবাইল নাম্বারের সাথে নিহত নারীর মোবাইলে কথোপোকথনের প্রমাণ র্যাবের তদন্তে পাওয়ায় সেলিমকে প্রাথমিক সন্দেহভাজন হিসেবে ধরতে আসে র্যাব।
এরআগে, শুক্রবার সকালে সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামে রাজধানীর মিরপুরের রোজিনা নামে এক নারীর কন্ঠনালী কাটা মরদেহ উদ্ধার করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে র্যাব-১১ এবং সোনারগাঁও থানা পুলিশের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :