শিরোনাম
◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে?

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ১০:৫৮ দুপুর
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ১০:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টেকনাফে অপহৃত ৭ জনকে গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার

টেকনাফ

ফরহাদ আমিন, টেকনাফ (কক্সবাজার): কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহকালে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ৭ জনকে উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার গহীন পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধারের তথ্য জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে ৯ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর মোহাম্মদ আমির (১১) ও রিফাত উল্লাহ (১২) নামের ২ জনকে ছেড়ে দিলেও জিন্মি রাখা হয়েছিল ৭ জন। উদ্ধার হওয়া ৭ জন হলেন- জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (১৭), ফজল করিম (৩৮), জাবেরুল ইসলাম (৩৫), আরিফ উল্লাহ (২২), মোহাম্মদ রশিদ (২৮), মোহাম্মদ জাফর (৩৮), মোহাম্মদ জয়নুল (৪৫)।

অপহরণের পর পর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও স্বজনরা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা দলবেঁধে পাহাড়ের ভেতরে কাঠ সংগ্রহ করতে গেলে মুখোশধারী ও অস্ত্রধারী ১৫-২০ জন তাদেরকে ঘিরে ফেলে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করেন।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশের কয়েকটি দল অভিযান শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের সঙ্গে পাহাড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে সহযোগিতা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গহীন পাহাড়ে তাদের রেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, উদ্ধার হওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। এরূপ অপহরণের ঘটনা নিয়ে নানা সন্দেহ রয়েছে। এটা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সারা দিন অপহৃতদের স্বজনদের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, কাঠ সংগ্রহের কথা বলে হলেও ৭ জনের মধ্যে একজন কলেজ ছাত্র। স্বাভাবিকভাবে ওই ছাত্র কাঠ সংগ্রহে যাওয়ার কথা না। তাছাড়া পাহাড়ে এর আগে একই ধরণের ঘটনা ঘটলেও এরা পাহাড়ে গিয়েছিলেন বিষয়টি পরিষ্কার না। ফলে পুরো ঘটনা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

উল্লেখ্য, এ ৯ জন ছাড়া এর আগে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ৪১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা হলেও ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। যেখানে ২২ জন মুক্তিপনের টাকা দিয়ে ফেরত আসার তথ্য জানিয়েছিল। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ ২ শিশু অপহরণের ৮ ঘন্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসে। এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক পাহাড়ি ঢালার ভেতর থেকে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়