শিরোনাম
◈ হামজা চৌধুরীর দুর্দান্ত পারফর‌মেন্স, ফাইনালে শেফিল্ড ইউনাইটেড ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু ◈ ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা কে এই আয়েশা ফারুক? ◈ গার্ডিয়ান থেকে বিবিসি; পশ্চিমা গণমাধ্যম কীভাবে ইসরাইলি অপরাধকে স্বাভাবিক হিসেবে প্রচার করে? ◈ রংপুর রাইডার্স এবা‌রো‌ গ্লোবাল সুপার লি‌গে অংশ নি‌চ্ছে ◈ রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন আলোনসো ◈ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আনচেলত্তি ব্রা‌জি‌লের প্রধান কো‌চের দা‌য়িত্ব নে‌বেন ২৬ মে ◈ ভারত পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে কেন আসছে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের কথা? ◈ দায়িত্ব নিলেন নতুন সিআইডি প্রধান  ◈ এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ১২:০২ রাত
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ১২:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় শিশু দিবসে কুবিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন

মাহমুদুল হাসান নয়ন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ই মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পাঁচ তলায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

প্রতিযোগিতায় ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিযোগিতা দুটি ক্যাটাগরিতে আয়োজিত হয়। ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে "ক" গ্রুপ এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে "খ" গ্রুপে  আলাদা ভাবে ৩ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও প্রতি গ্রুপ থেকে বিশেষ বিবেচনায় ৭ জন প্রতিযোগিকে 'নন্দন পুরস্কার' প্রদান করা হয়৷ 

১৭ ই মার্চ উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা আয়োজন ও সার্বিক দিক তত্ত্বাবধানে কাজ করেছে দিবস উদযাপন কমিটির অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি আয়োজক কমিটি। আয়োজক কমিটির আহবায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন জানান, দুটি দিবসকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। প্রতিবারই আমাদের এমন আয়োজন করা হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ৮-৯ টি স্কুলের বাচ্চাদের আমরা দাওয়াত দিয়েছিলাম। এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এখানে এসে তারা দেশ, মাটি, প্রকৃতি, বঙ্গবন্ধু - কে এঁকেছে। তাদের এ রঙের ছটায় আসলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আজকে রঙিন হয়ে উঠেছে৷ এছাড়া এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এই  শিশু-কিশর, তরুন প্রাণগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসরে আসলো, তারা জানতে পারলো বিশ্ববিদ্যালয় কী। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ও সম্মানিত বোধ করছে তরুনদের মনে জাতির আদর্শ, জাতীয় চেতনা উন্মেষ করতে পেরে এবং তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে পেরে৷ 

অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী পর্বে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মইন বলেন, তোমরা যারা ছবি এঁকেছো, যারা এসেছো তাদের আমি ধন্যবাদ দেই৷  আমি আশা করব তোমরা প্রতিবছরই আসবে৷ আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা এখানে এসেছি। যার জন্য নিজেদেরকে বাঙালি বলতে পারছি, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, তাঁর আজ জন্মদিন। তোমরা সবসময় বঙ্গবন্ধুর কথা মাথায় রাখবে৷ তোমরা উনার কথা চিন্তা করবে, উনার বক্তৃতা পড়বে, উনাকে জানবে এবং ঐভাবে তোমরা বড় হবে যাতে বাংলাদেশ আরো সুন্দর হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শক, বিভিন্ন হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান এবং আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ৷ 

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কনের সামগ্রী ও সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য চকলেট-বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবার সরবরাহ করা হয়। এছাড়া, পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষে বিলুপ্ত শাখা ছাত্রলীগের একাংশ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করে।

প্রতিনিধি/এসএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়