এএইচ রাফি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ীর সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষ সহ ৮ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ ই মার্চ) বিকেলে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বাবুল মিয়ার ছেলে আব্দুল হেকিম টাক্কা (৩২), আব্দুর রহমানের ছেলে চুন্নু মিয়া(৩০), বাবুল মিয়ার স্ত্রী রুপসা বেগম (৪৫), মৃত কাজী সোনা মিয়ার ছেলে কাজী সিরাজ(৬২) ও তার ছেলে কাজী সালেক মিয়া (৩৭), ফয়জুল হক মিয়ার ছেলে মো. রনি মিয়া (৩২) ও সালেক মিয়া( ৩৪), হান্নান মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া, আলিম মিয়ার পুত্র মো. সোহেল মিয়া। আহরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
এরমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হেকিম ওরফে টাক্কা (৩২) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম কল্যাণপুর গ্রাম মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত। মাদক ব্যবসা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই গ্রামে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ একই গ্রামের দূ পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান জানান, আব্দুল হেকিম টাক্কা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার মাদক ব্যবসায় বিরোধিতা করায় একাধিকবার স্থানীয় শিক্ষনবিশ আইনজীবী রনি'র সাথে ঝামেলা চলে আসছিল। বিষয়টি এর আগেও কয়েকবার আমাকে জানিয়েছে। রণি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হওয়ায় সে শহরে বাসা নিয়ে বসবাস করছে। সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর হেকিম টাক্কা হুমকি দিয়েছে, রনিকে শহরের লোকজন দিয়ে মারধর করবে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেলে মাদক ব্যবসায়ীর সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের মারামারি হয়েছে। বিষয়টি আমাকে অবগত করেছে। আমি বলেছি আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে। এর মধ্যে আব্দুল হেকিম টাক্কার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে, আর চুন্নু মিয়া কে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে কি নিয়ে এই ঘটনায় বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
প্রতিনিধি/জেএ