সাদ্দাম হোসেন, বরগুনা: আগাম তরমুজ চাষ করেও শঙ্কায় বরগুনা জেলার চাষীরা। গতবছর তরমুজের ভালো দাম পাওয়ায়, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে বলে জানায় বরগুনা জেলা কৃষি অফিস।
তবে তরমুজ চাষের বীজ, কীটনাশক ও সারের দাম বাড়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের আতঙ্কে আছেন বলে জানান চাষীরা। সারাদেশে যে পরিমাণ তরমুজের চাহিদা রয়েছে তার একটি অংশ আশে বরগুনা জেলা থেকে। এছাড়া এই অঞ্চলের তরমুজ সুমিষ্ট হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে এর বাড়তি চাহিদা রয়েছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান কাটার পরপরই পরিবার -পরিজন নিয়ে মাঠে কাজ করছেন তারা। মাঠের পর মাঠ চাষাবাদ করে তরমুজ বীজ বপনের জন্য গর্ত তৈরি করছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও করছে এ কাজ।
বরগুনা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭ হাজার ৪৬৯ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে বিগত বছরের চেয়ে দেশের সকল প্রকার জিনিসপত্রসহ তরমুজের বীজ, সার এবং কীটনাশকের দাম বেড়েছে অনেক।
সরকারি ভাবে ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সারের দাম এক হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু তরমুজ চাষে কৃষকেরা বেশি আগ্রহী হওয়ায় সার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছে এমন অভিযোগ কৃষকদের।
অপর দিকে, বাজারে কীটনাশকের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জমি চাষেও বেশি খরচ হচ্ছে। এর ফলে, এবার তরমুজের উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে জানান তারা।
বরগুনা সদর উপজেলার নিমতলী গ্রামের মো. হুমায়ুন কবির বলেন পাঁচ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গত বছর ২-৩ লাখ টাকা লস হয়েছে। এ বছর তা পুষিয়ে নেয়ার আশা করছি। গত বছরের চেয়ে সার ও কীটনাষকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার খরচ অনেক বেড়েছে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/একে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :