ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ব্যারাকে এক নারী কনস্টেবলকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ ওঠার পর একই থানার এক পুরুষ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ‘তদন্ত সাপেক্ষে’ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পুলিশ সুপারের তরফে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “থানায় পুরুষ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নারী কনস্টেবলকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ ঢাকা জেলা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।”
মঙ্গলবার ওই নারী কনস্টেবল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসির কাছে অভিযোগ করেন, সেই পুরুষ কনস্টেবল তাকে পাঁচ মাস ধরে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে আসছেন’।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে উভয় পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন এবং ঘটনাটি তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “পুলিশের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।”
এ ঘটনায়ও পুরুষ কনস্টেবল ‘দোষী সাব্যস্ত হলে’ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই নারী কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেন। গত রমজানে ঈদের পরে রাতে ব্যারাকে তার রুমে ঢুকে ‘ধর্ষণ’ করেন সেই কনস্টেবল। এমনকি ওই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। আর ওই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে তাকে ‘দিনের পর দিন’ থানা ব্যারাকেই ‘ধর্ষণ’ করা হয়।