কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাংলোবাড়ি উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আজ বুধবার কেরানীগঞ্জের কাউটাইল এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় প্রায় দুই একর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা বাংলোবাড়ির সীমানাপ্রচীর ও ভেতরের ভবন ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়া তিনটি দোতলা ভবন, বেশ কয়েকটি টংদোকান ও কিছু গাছপালা উপড়ে ফেলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানটির জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বাংলোবাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছিল।
অভিযানে তিনটি দোতলা ভবন, কয়েকটি টংদোকান ও গাছপালা উপড়ে ফেলা হয়। এ সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা–পুলিশ, র্যাব-১০ ও কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহায়তা করেন।
তিনি আরও জানান, বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় নিয়মিত এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। কোনো প্রভাবশালী বা পরিচিতি এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হবে না। ২০০৯ সালে জনস্বার্থে করা এক রিটের আদেশে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নির্দেশনা অনুযায়ী এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলায় নসরুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এর আগে দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে নসরুল হামিদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী সীমা হামিদের নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেন।