জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একই পরিবারের সাত সদস্য নিহতের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নিহত বাহার উদ্দিনের বাবা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় মাইক্রোবাস চালক আকবর হোসেনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি এখনও পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন।
গত ৬ আগস্ট রাতে প্রবাসী ছেলেকে আনতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন বাহারের পরিবারের সদস্যরা। ফেরার পথে নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি ৩০ মিটার গভীর খালে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই পানিতে ডুবে প্রাণ হারান বাহারের মা, স্ত্রী, মেয়ে, দুই ভাতিজি, ভাবি ও শাশুড়ি।
দুর্ঘটনার পর গাড়ির মালিক মো. রাসেল জানান, চালক আকবর ঘটনাস্থলে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট ছিলেন এবং পরে অসুস্থ হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে যান। তবে এরপর থেকেই তার মোবাইল বন্ধ এবং তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বেঁচে ফেরা স্বজনরা অভিযোগ করেন, কুমিল্লার কাছে একবার দুর্ঘটনার মুখে পড়লেও চালক বিশ্রাম নেননি, বরং ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটান।
এই ঘটনায় চালকের লাইসেন্স, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা ও নিয়োগদাতার দায়বদ্ধতা নিয়ে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায় এবং নিহতদের কবর জিয়ারত করে।