শিরোনাম
◈ ডিএনএ পরীক্ষায় সবার পরিচয় নিশ্চিত, নিখোঁজ নেই: মাইলস্টোন অধ্যক্ষ ◈ পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়ায় রুপান্তর, চলছে মাসিক চাঁদাবাজি ◈ বিশ্বে ২০২৩ সালে ১.১ ট্রিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক বাণিজ্য, ৭৫% পরিণত হয়েছে বর্জ্যে: আঙ্কটাড রিপোর্ট ◈ ট্রাম্পের জরিমানার হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনবে ভারত! ◈ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম শমশের আলী আর নেই ◈ আজ ঢাকায় ছাত্রদল ও এনসিপির সমাবেশ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা, বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ◈ ইংল‌্যান্ডসহ ১৪‌টি দেশ ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ঢাকছে? ◈ শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই‌য়ের পর ম‌হিলা কোপা আ‌মে‌রিকার শি‌রোপা জিত‌লো ব্রাজিল ◈ জাতীয় ক্রিকেট লি‌গে বরিশালের প্রধান কোচ মোহম্মদ আশরাফুল ◈ নামাজরত অবস্থায় যুবককে ছুরিকাঘাত, কুমিল্লায় চাঞ্চল্য

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০১:১৪ দুপুর
আপডেট : ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টিকটক প্রেম থেকে বিয়ে: সুমাইয়ার টানে চীন থেকে মাদারীপুরে শি তিয়ান জিং

মাদারীপুরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের টানে চীনের নাগরিক শি তিয়ান জিং নামের এক যুবক বাংলাদেশে এসেছেন। বিয়ে করে বর্তমানে তিনি মাদারীপুর শ্বশুরবাড়িতে আছেন। এদিকে, ভিনদেশি নাগরিককে একনজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় করছেন লোকজন।

জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষের চর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হোসেন ও ইয়াসমিন বেগমের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯)। সুমাইয়া মাদারীপুর শহরের সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তারা তিন বোন। সুমাইয়া বড়, মেজো সাদিয়া আক্তার (১২) মাদ্রাসায় পড়েন, ছোট বোন আরিফা (৬)।

এদিকে, চীনের সাংহাই শহরের বাবা সি জিং নিং ও মা ওয়াং ইংয়ের ছেলে শি তিয়ান জিং (২৬)। তারা দুই ভাই। বড় শি তিয়ান জিং, তার চীনের সাংহাই শহরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে। প্রথমে সুমাইয়া এই শি তিয়ান জিং এর টিকটক দেখেন। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা আদান প্রদান হয়। উভয়েই গুগলের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান-প্রদান করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়।

মাত্র চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪শে জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন শি তিয়ান জিং। এরপর একদিন ঢাকার একটি হোটেলে থাকেন। ২৬শে জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষের চর সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন। সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম ও তার দুইজন আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে শি তিয়ান জিংকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদানপ্রদান করেন শি তিয়ান জিং। এরপর ২৭শে জুলাই তারা বিয়ে করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে আশপাশের মানুষসহ দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করতে থাকেন। 

সুমাইয়া আক্তার বলেন, টিকটক দেখে আমি ওর ভক্ত হই। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা হয়। পরে দু’জনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। কিন্তু মাত্র চার মাসের প্রেমের সূত্র ধরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমার কাছে চলে আসবে, তা কখনো ভাবিনি। ও প্লেনে ওঠার সময় বলেছে আমি বাংলাদেশে আসতেছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি। তার মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। ওরাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন। এরইমধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। ও এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এরই মধ্যে আমার সকল কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে। আমিও চীনে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শি তিয়ান জিং বলেন, বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে, তাই আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাবো। সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে চীনের নাগরিক সিতিয়ান জিংয়ের মোবাইলে প্রেম হয়। এরপর সে বাংলাদেশে এসে আমার মেয়েকে বিয়ে করে।

এখন সে আমাদের এখানেই আছে। ও খুব ভালো। খুবই অমায়িক। কোনো অহংকার নেই। এক মাস থাকবে এবং আমার মেয়েকে নিয়ে যাবে। এতে করে আমরা খুব খুশি। পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। শুনেছি চীনের ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছুদিনের মধ্যে সুমাইয়াকেও চীনে নিয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়