রুকুনুজ্জামান, পার্বতীপুর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে চুরি হওয়া একটি ট্রাক পার্বতীপুরে কাটা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ট্রাকচালক ও চোরচক্রের অন্যতম এক সদস্যকে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশি অভিযান প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২৩ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যায়। সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মাসুদ রানা এন্টারপ্রাইজ-এর মালিকানাধীন একটি ট্রাক (নম্বর: ঢাকা মেট্রো ট-১৫-৭৫০২) হঠাৎ নিখোঁজ হয়। ট্রাকচালক সোহাগ (৩৩) গাড়িটি নিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে চলে যায় এবং স্থানীয় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজের কাছে ৫০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ট্রাক মালিক মাসুম রানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে মোবাইল ফোন ও জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ট্রাকের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে ২৫ জুলাই (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে পার্বতীপুর পৌর শহরের ঢাকা মোড়ে ট্রাক কাটার সময় পুলিশের অভিযানে চালক সোহাগ ও চোরচক্রের সদস্য ফেরদৌস (৩২) — পিতা কাইয়ুম, গ্রাম: নুরনগর — গ্রেপ্তার হন।
তবে অভিযানের সময় মূল ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী ও চোরাই মাল ক্রেতা মাসুদ পারভেজসহ তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ কাটা ট্রাক এবং গ্রেপ্তারকৃতদের পার্বতীপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। ট্রাক মালিক মাসুম রানা বলেন, “জিপিএস সিগন্যাল হারানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি জিডি করি। পরে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পার্বতীপুর থানা পুলিশ আসামিদের আটক করে।”
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, “ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। চোরাই মাল ক্রয়ে জড়িত মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।”
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মাসুদ পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে চোরাই ভাঙাড়ি মালামাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। অথচ বারবারই সে পার পেয়ে যাচ্ছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার একটি চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যাতে মূল হোতারা আইনের হাত থেকে রেহাই পায়। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।