খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-সন্তু) সদস্যদের সঙ্গে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-প্রসিত) গ্রুপের গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এতে ৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে জেএসএসের বক্তব্য না পেলেও ইউপিডিএফ দাবি করছে— এ খবর সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও গুজব’।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাবছড়া ইউনিয়নের জোড়া সিন্দু কার্বারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দীঘিনালা থানার ওসি মো. জাকারিয়া জানান, দীঘিনালার দুর্গম এলাকা নারাইছড়ি বিওপি হতে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে জোড়া সিন্দু কারবারী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় ৪ নিহত হওয়ার কথা শুনেছি। তবে তা সঠিক কি না জানি না। ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকায় হওয়া যৌথবাহিনী ছাড়া পুলিশের যাওয়া সম্ভব না।
এদিকে ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ির সংগঠক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দীঘিনালার বাবুছড়া জোড়া সিন্ধু কার্বারি পাড়ায় জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের সঙ্গে শুক্রবার গোলাগুলিতে ইউপিডিএফ-এর চার সদস্য নিহত হয়েছে বলে মিডিয়ায় যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, মিডিয়ায় প্রচারিত উক্ত গোলাগুলির ঘটনার কোনো তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস্ লিবারেশন আর্মি’ নামে তার কোনো সামরিক শাখা থাকার প্রশ্ন একেবারে অবান্তর ও কাল্পনিক। এসব গুজব ও অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে সন্তু লারমা দলের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯৯৭ সালে সরকার এবং জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর তার বিরোধিতা করে প্রসিত বিকাশ খিসার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।