ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মিল্লাত হোসেন (২১) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় মো. আফসার (৩২) নামে অপর একজন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তারা পৌর এলাকার বাসপদুয়া সীমান্ত এলাকায় গেলে ভারতীয় বিএসএফ দুজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে মিল্লাত ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। তিনি পরশুরাম পৌর এলাকার বাসপদুয়া গ্রামের মো. ইউসুফ মিয়ার ছেলে। গুরুতর আহত আফসার একই এলাকার এরামতের ছেলে।
স্থানীয় মজনু নামের একজন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসপদুয়া এলাকায় গুলির শব্দ শুনে তারা ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে উদ্ধার করেন।
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকির হোসেন মিল্লাতকে মৃত ঘোষণা করেন। মজনুকে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, নিহত মিল্লাত ও আহত আফসার মাছ ধরতে বাসপদুয়া সীমান্ত এলাকায় যান। এ সময় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
নিহত মিল্লাতের মা পারভিন আক্তার বলেন, তার ছেলে মাছ ধরতে সীমান্ত এলাকায় যায়। এ সময় বিএসএফ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নয়ন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, গুলিবিদ্ধ দুজনকে রাত ২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে মিল্লাত নামের একজন আগে মারা যায়। আফসার নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. নুরুল হাকিম যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মিল্লাত ও আফসার নামে দুইজন সীমান্ত এলাকায় গেলে তাদের লক্ষ্য করে ভারতীয় বিএসএফ গুলি করে। মিল্লাত নামের একজন ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪ ব্যাটালিয়নের ফেনীস্থ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোশারফ হোসেন জানান, বাংলাদেশি দুই যুবক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে।