জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ভুয়া সেনাসদস্যের পরিচয়ে ৩৭তম বিয়ে করতে এসে ধরা পড়লেন এক প্রতারক। এ সময় তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় জনতা। বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় উপজেলার পাঠানপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত ওই প্রতারক হলেন, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মনতাজ উদ্দিনের ছেলে সদরুল ইসলাম (৪১)। এ সময় তার সহযোগী একই গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে আঃ রহিম (৫৫)কেও আটক করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রকৃত নাম-ঠিকানা গোপন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ভুয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে স্থানীয় ঘটক আমিরুল ইসলামের মারফত জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সাতিনালী গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান সোহেলের মেয়ের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন ওই প্রতারক। জামাই সেজে তিনদিন শ্বশুর বাড়িতে থেকে ছুটি শেষে সেনা ক্যাম্পে ফেরার বাহানায় নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয় তারা। পরে ওই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে তাকে আর পাওয়া যায় না।
গত বুধবার ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন ওই ভুয়া সেনাসদস্য ও তার এক সহযোগী। এবং তাদের সেনাসদস্যের পরিচয়পত্র ও আইডি কার্ড দিয়ে যায়। বিষয়টি ওই আমিনুর ঘটক তার আইডি কার্ডে ছবি দেখে তাকে চিনতে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার ওই ভুয়া সেনাসদস্য তার এক সহযোগীকে নিয়ে বিয়ের খবর নিতে পাঠানপাড়া বাজারে আসে।
ঘটক আমিরুর ও মেয়ের বাবা ওই দুই প্রতারকের ঘটনাটি বাজারের স্থানীয় লোকজনদের জানালে তাদের আটক করে গণধোলাই দিলে তারা সত্যতা স্বীকার করে এবং বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে ৩৬টি বিয়ে করেছেন। পরে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, সেনাসদস্য পরিচয়ে দুই ব্যক্তি বিয়ের পাত্রী দেখতে এলে স্থানীয় জনগণের সন্দেহ হলে তারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।