শিরোনাম
◈ দশম গ্রেডে প্রধান শিক্ষকদের বেতন কার্যকরে প্রস্তুত সরকার, সহকারী শিক্ষকরা চায় ১১তম গ্রেড ◈ বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ◈ কী ঘটেছিল? কেন নিষেধাজ্ঞায় পড়তেই হলো লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবাকে? ◈ ঢাকার আকাশে সামরিক বিমান, শহরে ঘাঁটি ও বিমানবন্দর থাকার ঝুঁকি কী? ◈ বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ বিদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া (ভিডিও) ◈ যে কারণে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ইসলাম শিক্ষা ◈ সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল বেপরোয়া সেই অটোরিকশার চালক মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন ◈ কুড়িগ্রামে নৌকা বানিয়ে ঝোলানোর দায়ে, আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রেফতার ◈ মহানবী (সা.)-এর যে ৯টি অভ্যাস সুস্থ জীবন যাপনে অত্যন্ত উপকারী ছিল ◈ চট্টগ্রামে তিনটি আইকনিক ভবন করবে এনবিআর

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০২৫, ০৪:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মসজিদে সামনের কাতারে জায়গা না পাওয়ায় পিস্তল নিয়ে হামলার অভিযোগ

মসজিদে সামনের কাতারে বসা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে পিস্তল নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে হারুন-উর রশিদ নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে মিজানুর রহমান নামের একজন মাদ্রাসাশিক্ষার্থী আহত হয়। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বাড়িয়াছনি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

বাড়িয়াছনির বাবুস সালাম মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা ফাইজ উল্লাহ বলেন, ‘হারুন-উর রশিদ নামের এক লোক বহুদিন ধরেই  প্রভাব খাটিয়ে মুসল্লিদের সরিয়ে নামাজের সামনের কাতারে বসতেন। এ ছাড়াও ইসলামি মাসআলা নিয়ে ইমাম ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের নিয়ে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে হারুন-উর রশিদ ফজরের নামাজের পর ছাত্রদের সঙ্গে বিতর্কের জেরে  পিস্তল নিয়ে হামলা করে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী হাফেজ মিজানুর রহমানকে আহত করে। এ সময় ছাত্ররা পিস্তলসহ তাকে আটক করে রূপগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শুধু পিস্তল থানায় নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে স্থানীয় মুসল্লি সিরাজ মিয়া বলেন, ‘হারুন নামের ওই ব্যক্তি বাড়িয়াছনি এলাকায় জমি কিনে ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন। তার সঙ্গে যে কেউ তর্ক করলে ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়। একইভাবে আজ (মঙ্গলবার) সকালে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে বাড়ি দিয়ে আহত করে। এর আগে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করে জমি দখল করতে গেলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন-উর রশিদ বলেন, ‘আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি তারা হানাফী মাজহাবের অনুসারী, আর আমি হাম্বলী তরিকায় নামাজ পড়ি। তাই ইসলামি মাসআলা নিয়ে তর্ক হয়। এতদিন সামনের কাতারেই বসতাম, আজ (মঙ্গলবার) ভোরে নামাজ পড়তে গেলে তারা ব্লক করে সামনের কাতারে দাঁড়ায়। এতে আমি অপমানিত হই। পরে তর্কের জেরে দলবেঁধে আমাকে হামলা করতে চায়। তাই শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে আমার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে যাই, কিন্তু কাউকে মারিনি। আমার দ্বারা আঘাত পায়নি। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ আমার পিস্তল নিয়ে যায়। লাইসেন্স দেখিয়ে তা ফেরতের কথা বলে। আমি তা নিয়ে আসবো।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীর ওপর হামলার বিষয়ে মৌখিক জেনেছি। একটি বৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি। তবে অভিযোগ না পাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিষয়টি এলাকায় বসে মীমাংসা করেছে।’ উৎস: বাংলাট্রিবিউন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়