শিরোনাম
◈ সরকারের যে কোনো ভুল সিদ্ধান্তে মাথাচাড়া দিতে পারে ফ্যাসিস্ট: তারেক রহমান ◈ এমপিওভুক্ত পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য সুখবর ◈ ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমদানি শুল্ক বাড়ছে: যে ৫ পণ্যের দাম বাড়তে পারে ◈ বিভিন্ন জেলার ১০২ জন এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার ◈ গাজীপুরে আসন বাড়বে, কমবে বাগেরহাটে: ইসি ◈ জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেল সড়ক, দুর্ভোগে ২০ হাজার বাসিন্দা ◈ রামগতির সাথে বয়ারচরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জোয়ারের তোড়ে ব্রিজের মাটিতে ধ্বস ◈ ৫ ডি‌সেম্বর ২০২৬ সা‌লের ফুটবল বিশ্বকা‌পের ড্র ◈ কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবিতে অনুষদীয় গেটে তালা দিলো শিক্ষার্থীরা ◈ উরুগু‌য়ে‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৬:৩৩ বিকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের তিন বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শূন্য পাস, জেলায় সমালোচনার ঝড়

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের তিনটি বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জেলায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

শূন্য পাস পাওয়া তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো—

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,

নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়,

ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।

পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছে। পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন এবং নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউই পাস করেনি।

এ ছাড়া জেলার আরও কিছু বিদ্যালয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কৃতকার্যদের তুলনায় বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব জানান, “বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সাল থেকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। এ বছর ৯ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নেয়, কিন্তু কেউই পাস করতে পারেনি। এখানকার শিক্ষার্থীরা অনেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে পড়ালেখা করে। বর্তমানে শিক্ষক ৪ জন ও শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮৫ জন।”

এদিকে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি কিছুদিন আগে কুড়িগ্রামে যোগদান করেছি। যেসব বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল হয়েছে, তাদের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে কারণ জানতে চাওয়া হবে।”

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৭ শতাংশ। কুড়িগ্রাম জেলায় এ হার ৬২.৩৫ শতাংশ। এ জেলায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,১৫৮ জন শিক্ষার্থী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়