কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। রবিবার (৬ জুন) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট, থানাহাট ইউনিয়নের সবুজপাড়া, কলেজমোড়, পাম্প মোড় ও রমনা ইউনিয়নের শরীফেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ লাইনস কুড়িগ্রাম ও চিলমারী থানা পুলিশের সমন্বয়ে ওসি আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে স্পর্শকাতর এ স্থান গুলোতে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এই নজরদারি ও টহল অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়াও যে মামলাটি হয়েছে, সে মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে জোরালো অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আব্দুল বারি সরকারকে আহ্বায়ক ও আবু হানিফাকে সদস্যসচিব করে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট চিলমারী উপজেলা বিএনপির একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ।
কমিটি প্রকাশের পর পরই পক্ষপাতিত্ব ও ত্যাগীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে এই কমিটি বাতিলের দাবিতে ওই দিন দুপুরেই বিক্ষোভ মিছিল করে চিলমারী বিএনপির একাংশ। এ ছাড়াও ওই দিন রাতে মশাল মিছিল বের করে কমিটি বাতিলের দাবি জানায় উপজেলা বিএনপির বিক্ষুব্ধরা নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।
মশাল মিছিলের পরপরই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে চিলমারী উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রুহুল আমিন জিয়াকে বেধড়ক মারপিটের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপরাধে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার দেয়া এক ঘোষণায় সদ্য ঘোষিত চিলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাইদ হোসেন পাখি ও সদস্য আব্দুল মতিন সরকার শিরিনকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল সংশ্লিষ্ট সকল পদ ও পদবি থেকে অব্যাহতি দেন।