জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীর আমড়াগাছিয়া গ্রামের গুদির খালের স্লুইজ নির্মাণের বাইপাস সড়ক সংস্কারকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ওমর আলী চৌকিদার ও মনির প্যাদার মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আটজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের সাহেববাড়ী স্ট্যান্ডে।
জানাগেছে, উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের গুদির খালে স্লুইজ নির্মাণ কাজ চলছে। স্থানীয়দের চলাচলের জন্য ঠিকাদার বাদশা মিয়া বাইপাশ রাস্তা নির্মাণ করে দেন। বৃষ্টিতে ওই বাইপাস রাস্তা চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় স্থানীয় জাহাঙ্গির মৃধা, আব্বাস মৃধা ও ওমর আলী চৌকিদার ঠিকাদার বাদশাকে বাইপাস রাস্তা মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে পরামর্শ দেন। কিন্তু বৃষ্টির কারনে ওই রাস্তা সংস্কার করতে পারেনি ঠিকাদার।
ওই কদমাক্ত পথে চলাচল নিয়ে গত শনিবার ওমর আলী চৌকিদারের সঙ্গে প্রতিবেশী মনির প্যাদার কথা কথাকাটি হয়। এরই জের ধরে ওইদিন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষ ওইদিন রাতে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে শালিস বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তুবৈঠকে বসার আগেই দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। রাত ১১ টার দিকে গুরুতর আহত কালাম দফাদার, মোসাদ্দেক হোসেন, হাবিবুল্লাহ, মাহবুব, ওমর আলী চৌকিদার, সুজন প্যাদা, সোহাগ প্যাদা ও মনির প্যাদাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আব্বাস মৃধা ও আবু বকর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু বকর বলেন, গুরুতর আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে সোমবার রাতে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু শালিক বৈঠকের আগেই দুই পক্ষ আবারো সংর্ঘষে জড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।