শিরোনাম
◈ জামায়াতের সমাবেশে খরচের পরিমাণ যা জানা গেল ◈ চাঁদাবাজির খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে: উমামা ফাতেমা ◈ বাংলা‌দেশ এবার সি‌রিজ খেল‌তে চায় নেপাল অথবা নেদারল্যান্ডসের সাথে ◈ নতুন মেরুকরণের পথে দেশের রাজনীতি ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম‌্যা‌চে দ‌ক্ষিণ  আফ্রিকাকে হা‌রি‌য়ে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ◈ ৯ সে‌প্টেম্বর এশিয়া কাপ শুরু, বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর ◈ চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস এডিবির: রফতানি-উৎপাদনে ধীরগতির প্রভাব ◈ দেশে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, ব্যাংক খাতের ৮০% অর্থ নিয়ে গেছে: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক পাঁচ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার ◈ ওজন কমাতে র‍্যাব কর্মকর্তাকে যে উপদেশ দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০২৫, ০৭:১১ বিকাল
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুবিধা বঞ্চিত বেনাপোল বন্দর শ্রমিকেরা

আইরিন হক, বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: স্থলপথে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়ের কেন্দ্র বেনাপোল বন্দর। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে  এখানকার শ্রমিকদের বড় ভুমিকা  থাকলেও  ভাগ্য উন্নয়নে কথা রাখেনি কেউ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় নিরাপদে পণ্য খালাসের সরঞ্জম টুকুও জোটেনা এদের কপালে।  কেমিকেল মিশ্রিত বায়ু দুষণে স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে বছর জুড়ে কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় নিরাপত্তা সরঞ্জমটুকুও মেলেনা কপালে। তবে বনিজ্যিক সংশিষ্টরা  বলছে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন তারা। 

বন্দর সুত্রে জানা যায়, স্থলপথে ভারতের সাথে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যে হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। আমদানির পরিমান বছরে ৪০ হাজার কোটি আর রফতানি ৮ হাজার কোটি টাকার। বন্দরে এসব পণ্য খালাসের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরনের কেন্দ্র বন্দরটি। আর এ রাজস্ব আহরনে বড় ভুমিকা রাখছে বন্দর শ্রমিকরা। বেনাপোল বন্দরে গ্রেড বেঙ্গল এন্টার প্রাইজ ও হোসনে আরা এন্টার প্রাইজ নামে দুইটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদের অধিনে এসব শ্রমিকেরা  আমদানি পণ্য খালাসে কাজ করে থাকে। সপ্তাহে ৭  দিনে ২৪ ঘন্টা পণ্য খালাসের কাজ করতে হয় তাদের। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গেল করোনার সময়ও কাজ করেছে শ্রমিকেরা। শীত,বর্ষা কিংবা  তীব্র তাপদাহের মধ্যেও তারা কাজ করতে হয় ।

ভারি মালামাল থেকে শুরু করে এসিডের মত পণ্য উঠা,নামানোর কাজ করতে হয় জীবনের ঝুকি নিয়ে। কেমিকেলে বায়ু দূষনে স্বাস্থ্য ঝুকি তো আছেই। কাজের নিরাপত্তায় হেলমেট আর হ্যান্ডস গ্লাাভসের দাবী থাকলেও এপর্যন্ত সরবরাহ করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ঝুকি নিয়ে কাজ করতে যেয়ে ভারী পণ্যের চাপায়,এসিডে পুড়ে জীবনও হারিয়েছে কয়েকজন। বন্দরের কাছ থেকে পায়নি চিকিৎসা সেবায় প্রত্যাশিত হাসপাতাল। বন্দর পরিদর্শনে এসে অনেকেই শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত কথা রাখেনি ক্ষোভ রয়েছে শ্রমিকদের। 

বেনাপোল হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক   শহীদ আলী জানান, ৮ ঘন্টার স্থলে বন্দর শ্রমিকেরা অনেক সময় বানিজ্য সেবায় ২৪ ঘন্টা পণ্য খালাসে কাজ করে। তবে ঠিকাদরের কাছ থেকে যে মজুরী আসে তা প্রাপ্তির চেয়ে কম। 

বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সাধারন সম্পাদক  জিয়াউর রহমান জানান, বন্দর শ্রমিকেরা পণ্য খালাসে নিরাপদ সরঞ্জম থাকেনা। এগুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহের জন্য অনুরোধ রাখছি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন বন্দর বিষয়ক সম্পাদক  মেহেরুল্লাহ জানান, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে বড় ভুমিকা শ্রমিকদের। শ্রমিকদের নায্য দাবী,দাবা পূরণে সংশিষ্টদের আন্তরিক হবার আহবান জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়