শিরোনাম
◈ 'মৌসুম যেমনই হোক, বন্ধুত্ব থাকবে', ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের ‘বরফ গলছে! (ভিডিও) ◈ এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও পাকিস্তান ◈ শাহজালালে যাত্রীর সঙ্গে ঢুকতে পারবেন ২ জন, আজ থেকে কার্যকর ◈ মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের জরুরি চিকিৎসা সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ◈ জামায়াতের সমাবেশে খরচের পরিমাণ যা জানা গেল ◈ চাঁদাবাজির খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে: উমামা ফাতেমা ◈ বাংলা‌দেশ এবার সি‌রিজ খেল‌তে চায় নেপাল অথবা নেদারল্যান্ডসের সাথে ◈ নতুন মেরুকরণের পথে দেশের রাজনীতি ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম‌্যা‌চে দ‌ক্ষিণ  আফ্রিকাকে হা‌রি‌য়ে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ◈ ৯ সে‌প্টেম্বর এশিয়া কাপ শুরু, বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১১ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৫৬ বিকাল
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উজিরপুরে মেট্রিক পাশ ভুয়া ডাক্তার রেজাউলের ১ বছরের কারাদণ্ড

নাজমুল হক মুন্না, উজিরপুর (বরিশাল) : বরিশালের উজিরপুরে মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার দাবীদার রেজাউল করিম কে এক বছরের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 
 
একাধিক গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে নড়ে চরে বসে প্রশাসন।  ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামের মায়ের দোয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাইনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
 
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র একটি অভিযান পরিচালনা করেন তাতে বিভিন্ন ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে।
 
মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করা সনদবিহীন রেজাউল করিম নিজেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার দাবী করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত পশ্চিম সাতলা গ্রামে অপচিকিৎসা করে আসছেন।
 
 স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ভুয়া পরিচয়ে তিনি জটিল সব রোগের চিকিৎসা দেন এবং সার্জারিও করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক রোগী ও নার্সকে যৌন হয়রানি, মারধর, সাংবাদিকদের লাঞ্চিত সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। 
 
রেজাউল করিম কখনও আবার সুযোগ বুঝে সাংবাদিক পরিচয়, আবার কখনও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, ঢাকা ও বরিশাল শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মালিক-প্রকাশক হিসেবেও পরিচয় দিতেও দেখা গেছে। সর্বশেষে তিনি উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী ও কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ সীমান্তের পশ্চিম সাতলা গ্রামে গড়ে তুলেন ‘মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’। ওই সেন্টারে বসেই বছরের পর বছর ধরে গ্রামগঞ্জের সহজ সরল রোগীদের অপচিকিৎসা করছেন তিনি। তার অপচিকিৎসায় বহু রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বরনের অভিযোগ রয়েছে। 
 
সূত্রে জানা যায়, ওই ক্লিনিকে রোগীদের ভর্তির পরে চিকিৎসা প্রদান বা জটিল অপারেশন করার তথ্য ডায়েরি বা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন না রেজাউল করিম। এতে তার কাজের কোনো প্রমাণ থাকে না। রোগীদেরকেও কোনো প্রমাণপত্র দেওয়া হয় না। এ ছাড়া তার সনদপত্রে লেখা-‘চার্টার অব অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব ইন্ডো অ্যালোপ্যাথি অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন’। কিন্তু অনুসন্ধান করে এই নামে সনদপত্র প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।
 
 
উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ মাইনুল ইসলাম খান বলেন ‘তিনি ভারতের একটি সনদপত্র দেখান। এটার কোনো বৈধতা নেই। তার যেহেতু এমবিবিএসের সনদ নেই, তাই তার দেখানো এসব ডিগ্রির কোনো দাম নেই। তাকে ১ বছরের সাজা প্রদান করা হয়েছে। 
 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়