শিরোনাম
◈ জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ◈ নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ ◈ সাভারে মেয়ের হাতে বাবা খুনের আসল ঘটনা নিয়ে যা জানা গেলো ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আনন্দ উল্লাস! (ভিডিও) ◈ পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে জামায়াতের কাছে লিজ দিন: ডা. তাহের ◈ জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো যুবকের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ, আসলে কী হয়েছিলো? যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ তামিম ইকবালকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে এতদিন পরে রাস্তায় কেন?

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১৩ বিকাল
আপডেট : ১০ মে, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মো. রাজু (৩৫) নামে এক শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়।

হত্যার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে রাজুকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় কবির হোসেন ও রেখা বেগম নামে দুইজনসহ ৪ জন আটক আছে। এরমধ্যে কবির ও রেখার নামে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপর দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের নাম জানায়নি পুলিশ।

নিহত রাজু চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক ও সবুজের গোজা এলাকার সফিক উল্যা সবুজের ছেলে। আটক কবির স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুনের ছেলে ও রেখা একই এলাকার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের সবুজের গোঁজা এলাকায় কাজল কোম্পানির ইটভাটার সামনে রাজু গণপিটুনির শিকার হয়। স্থানীয় কবিরের বাড়িতে ঢুকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারা হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের মা জীবনের নেহার, ভাই ওহিদ হোসেন, বোন জেসমিন বেগম ও মেয়ে রুবি আক্তার অভিযোগ করে জানায়, রাজুর মোবাইলে চার্জ ছিলো না। এতে সে ভাতিজা কবিরের ঘরে ঢুকে মোবাইল চার্জ দেয়৷ এরপর পরই কবির লোকজন ডেকে এনে রাজুকে পিটিয়ে হত্যা করে। তার শরীরে টেঁটা ও ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়৷ তার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। অমানবিক নির্যাতন করে তারা রাজুকে হত্যা করেছে।

চররুহিতা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রাজু চুরির সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নয়। পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়