শিরোনাম
◈ চাকরিজীবীদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার? ◈ সচিব পদে বড় রদবদল ◈ মোহাম্মদপুরের ত্রাস এক্সেল বাবু গ্রেপ্তার ◈ সৌদি আরবে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা ◈ সরকার ও রাজনৈতিকদলগুলো দুই মেরুতে, কোন দিকে যাচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতি ◈ প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,  ১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার ঘোষণা আসবে  প্রত্যাশা করছি ◈ সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের রুপরেখার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় হতাশ হয়েছে বিএনপি ◈ ‘এবারের হজযাত্রার এক অলৌকিক ঘটনা’ ◈ বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক, আনচেলত্তি ব্রা‌জি‌লের কোচ হিসা‌বে বছ‌রে বেতন পা‌বেন ১০৮ কো‌টি টাকা! ◈ একদিনে ডেঙ্গুতে ভর্তি ৭০, করোনা শনাক্ত ৬

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ রাত
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রবাসী সাহেদের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না তামান্নার, জানাজায় অংশ নিলেন পাত্র

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদাম বিবিরহাট এলাকার ইসরাত জাহান তামান্নার (২২) সঙ্গে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিয়ের দিন ধার্য ছিল ওমানপ্রবাসী যুবক মোহাম্মদ সাহেদের। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা হয়। ওমান থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেন সাহেদ। কিন্তু কে জানত, এর মধ্যেই ডেঙ্গু কেড়ে নেবে তামান্নার প্রাণ! তামান্নার মৃত্যুর খবর শুনেও দেশে এসেছেন সাহেদ। তবে অংশ নিয়েছেন হবু স্ত্রীর জানাজায়। 

তামান্না মাদাম বিবিরহাটের দিদারুল আলমের মেয়ে। আর চট্টগ্রাম নগরীর বলিরহাট এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে সাহেদ। 

পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে হঠাৎ তামান্নার শরীরে জ্বর চলে আসে। দিন দিন অবস্থার অবনতি হলে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে তাঁকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে নেওয়া হয় আরেকটি ক্লিনিকে। এর মধ্যে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় গত বুধবার রাতে মারা যান তামান্না। 

সাহেদ জানান, বিয়ের জন্য ওমান থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওমান বিমানবন্দরে পৌঁছে জানতে পারেন ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছেন তাঁর হবু স্ত্রীকে। তার পরও দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে পৌঁছান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। এর পর সরাসরি তামান্নার জানাজায় অংশ নেন। সকাল ১১টার দিকে মাদাম বিবিরহাট শাহাজাহানী শাহ (র.) মাজার মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

তামান্নার মামা শাহেদ মিয়া বদি বলেন, 'মনকে বোঝাতে পারছি না। ভাগনিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভুল চিকিৎসার কারণে আমার ভাগনি মারা যায়। যেখানে আমার ভাগনি বধূ সেজে বরের বাড়িতে যেত, আজ তাকে কবরে যেতে হলো।'  উৎস: সমকাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়