কুষ্টিয়া মেহেরপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া : যাত্রী তোলা নিয়ে বাস ও সিএনজি চালকদের দ্বন্দ্বের জেরে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর ও প্রাগপুর-মহিষকুন্ডি রোডে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এসব রুটে বন্ধ রয়েছে সিএনজি চলাচলও। এতে বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল হামিদ মুকুল।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা শহরে যাত্রী ওঠানো নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও বাসচালকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার বিকেল থেকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন কুষ্টিয়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও মেহেরপুর আঞ্চলিক বাস শ্রমিক সমিতির লোকজন। এতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েন।
বাসচালক আলতাব জানান, সকালে কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও বিভিন্ন জায়গায় বাধার মুখে পড়ে। বিশেষ করে কুষ্টিয়ার মধ্যে খলিশাকুন্ডি পাড় হলে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছেন সিএনজিচালকরা। নিরাপত্তা না থাকায় বাস চলাচল বন্ধ। রুট পারমিট ছাড়াই সিএনজিচালকরা সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ বাস চলাচল করতে পারছে না। সড়কে নিরাপত্তা পেলেই বাস চলাচল শুরু হবে।
কুষ্টিয়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আবদুল হামিদ মুকুল বলেন, অটোরিকশাচালকদের আক্রমণে মোটর শ্রমিকেরা আহত হয়েছেন। নিরাপত্তার অভাবে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর ও প্রাগপুর-মহিষকুণ্ডি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মীমাংসা হলেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।
মেহেরপুর আঞ্চলিক বাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশাচালকেরা বাসচালক ও সহকারীদের বেধড়ক মারধর করেন। এ কারণে কুষ্টিয়া বাস-মিনিবাস চালক সমিতির নির্দেশে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। প্রশাসন যদি অপরাধীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনে, তবে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, বিষয়টি কুষ্টিয়া প্রশাসনের ব্যাপার। তারা কি করছে আমাদের জানা নেই। কুষ্টিয়া প্রশাসন ও বাস মালিকরা বসে বিষয়টি সমাধান করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :