শিরোনাম
◈ এই প্রথম হ‌কি বিশ্বকাপে আম্পায়া‌রিং করবেন  বাংলা‌দে‌শের সে‌লিম ও শাহবাজ  ◈ পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার অভিযুক্ত টিনা ◈ রাফালের ধ্বংসাবশেষ সরানোর প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি ভেরিফাই! ◈ যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হারোপ ড্রোনের বিশেষত্ব কী? (ভিডিও) ◈ এখানে আরেকটা বেয়াদব আছে, সে শহীদ ফ্যামিলিকে ননসেন্স বলেছে: সংবাদ সম্মেলনেই শহীদ ইয়ামিনের বাবা(ভিডিও) ◈ দুপুরের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি, জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ◈ ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব, সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ: উপদেষ্টা মাহফুজ ◈ পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস! ◈ জুমার নামাজের পর বড় কর্মসূচির ঘোষণা হাসনাতের, উত্তাল যমুনা, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ ◈ যমুনার সামনে এখনো চলছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৪৬ সকাল
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাপোশ বানিয়ে কোটিপতি ঠাকুরগাঁওয়ের হযরত আলী ও সামসাদ আক্তার দম্পতি

জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও: অর্থের অভাবে এক সময় যাদের দিন যেত অর্ধাহারে-অনাহারে এখন সেই হযরত আলী ও সামসাদ আক্তারের মাসে আয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। এক সময় ভাঙ্গা ঘরে থাকলেও এখন তাদের রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও নিজস্ব পাকা বাড়ি। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে মাত্র ১০হাজার টাকার পুঁজি দিয়ে শুরু করা পাপোস তৈরির কারখানা থেকে।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিশ্রামপুর গ্রামের বাসিন্দা হযরত আলী ও সামসাদ আক্তার। স্বাবলম্বী হওয়ার  প্রত্যাশায় ২০০৮  সালে ৬টি মেশিন ও কিছু সুতা কিনে পাপোশ তৈরির কারখানা দিয়ে কাজ শুরু করেন। এখন তাদের কারখানায় ৩০০টি মেশিন রয়েছে।

রাত দিন এক করে বিভিন্ন রংয়ের পাপোস তৈরি ও কঠোর পরিশ্রমে পাল্টে গেছে তাদের জীবনচিত্র। একদম জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন এই দম্পতি। এলাকার বেকার নারী পুরুষের তারা এখন আইডল। করেছেন ৪০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান।

তাদের কারখানাটিতে এখন শুধু পাপোশ নয়, তৈরি হচ্ছে ফ্লোরম্যাট, শতরঞ্জি, কার্পেট, ওয়ালম্যাট, ট্যাপেস্টিক ও টেবিলম্যাট। তার তৈরি এসব পণ্য এখন যাচ্ছে আড়ং, আরএফএলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড শপে। শুধু তাই নয়, এসব পণ্য যাচ্ছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও। তাদের স্বপ্ন কারখানাটি একদিন গড়ে উঠবে আধুনিক হিসেবে। আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। 

মাত্র ১০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে তৈরি করা সে কারখানা থেকে বর্তমানে তিনি কোটিপতি। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তারা তাদের এলাকার অনেক বেকার যুবক ও নারীদের কর্মসংস্থান করেছেন।

হযরত আলীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই সামসাদ আক্তারের সংসারে লেগে ছিল অভাব অনটন। খেয়ে না খেয়ে কোনোরকমে দিনাতিপাত করতেন তারা। সংসারে কীভাবে অভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায় এবং স্বামীর পাশাপাশি বাড়তি কিছু করে আয় করা যায় সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন তিনি।

এরপরে সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেন একটি পাপোশ তৈরির কারখানা দেবেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নেন প্রশিক্ষণ। এ ছাড়া বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড থেকে ঋণ নেন তিনি। এরপর সেই ঋণের  টাকা দিয়ে শুরু করেন পাপোশ তৈরির কারখানার কাজ। তিনি বাড়িতে থেকে পাপোশ তৈরি করার কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন আর স্বামী তা বাজারে বিক্রি করতে সাহায্য করতেন।

এভাবেই ধীরে ধীরে তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। ছয়টি মেশিন দিয়ে শুরু করা পাপোশ কারখানায় বর্তমানে রয়েছে ৩০০টি মেশিন। 

হযরত আলী ও তার স্ত্রী সামসাদ আক্তার বলেন, আমরা একটা সময় খুব কষ্টে দিনযাপন করেছি। ব্যবসা শুরু করার চিন্তা মাথায় ছিল। কঠোর পরিশ্রম করে এই জায়গায় আমরা এসেছি। একটা সময় অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করতাম, এখন আমরা কোটিপতি। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা আয় করি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়