শিরোনাম

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেনীতে দাফনের ১২ দিন পর আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন

এমরান পাটোয়ারী, ফেনী: [২] দাফনের ১২ দিন পর আদালতের নির্দেশে দাগনভূঞার সেই আবদুল গফুর মিয়ার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুর রহমানের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়। 

[৩] এসময় উপস্থিত ছিলেন, দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাশিম, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসিফ ইনতেছার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, নিহত গফুর ভুঞর ছেলে লিয়াকত হোসেন রাজু, রাকিব হোসেন ও রিয়াদ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী।

[৪] এর আগে, মঙ্গলবার জেলার আলোচিত এ গফুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশটি উত্তোলনের নির্দেশ দেন দাগনভূঞা আমলি আদালত।

[৫] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে জেলার দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোড়স্থ অভিরামপুর এলাকায় ৫ তলা একটি ভবন দখল করতে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এসময় হামলাকারিরা ভবনটির বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যসের লাইন কেটে দেয়। এরপর ওই তান্ডবে ভবনটির আহত মালিক আবদুল গফুর ভূঞা গত ০১ জনু মারা যাওয়ার পর ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

[৬] পরবর্তীতে গত ৪ জুন নিহতের ছেলে রিয়াদ হোসেন বাদী হয়ে এঘটনায় একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের দাগনভূঞা আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

[৭] দাগনভূঞা আমলী আদালতের বিচারক ফারহানা লোকমান মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য দাগনভূঞা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

[৮] নিহতের চাচাতো ভাই দেলোয়ার ভূঞা বলেন, দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর এলাকার কাতার প্রবাসী আবদুল গফুর ভূঞা প্রায় ১৫ বছর আগে স্থানীয় পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের পলাশ চন্দ্র সাহার কাছ থেকে ৬ শতক জায়গা কেনেন। ওই জায়গায় ২০১৩ সালে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেন।

[৯] সম্প্রতি রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ইকবাল হোসেন ওই ভবনের জমির মালিকানা দাবি করেন। এরপর গফুর ভূঞাকে উচ্ছেদ করে বাড়িটি দখলে নিতে হুমকি-ধামকি দেন চেয়ারম্যান মামুনও। এমনটি জানান তাঁর স্বজনরা। 

[১০] এদিকে গত ২৯ মে) দুপুরে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ চলাকালে ৪০/৫০ জন যুবক ভূঞা ম্যানশনে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এরপর সবকটি মিটার ভেঙে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও পানির মোটর খুলে নিয়ে যায়। নিচতলার বাসার বাইরে দরজা আটকিয়ে দ্বিতীয় তলায় গফুর ভূঞার বাসায় হানা দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই গফুর ভূঞা, তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, পুত্রবধূ ও দেড় বছর বয়সী নাতনিকে বেদম মারধর করে। এ সময় আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তাদের ব্যবহৃত সবকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

[১১] দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাসিম জানান, আদালতের নির্দেশের হত্যা মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিগণ পলাতক রয়েছে। বুধবার আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়