ফরহাদ হোসেন: [২] নিহতরা হলেন- মনেজা খাতুন (৫৪), জাহাঙ্গীর (৫০) ও মাইশা (৪)। নিহত মনেজা খাতুন লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরউমেদ গ্রামের তেলী বাড়ির আব্দুল কাদেরের স্ত্রী। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
[৩] ওই নারী ও তার এক নাতী ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে ঝড়ো বাতাসে টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। তবে তার নাতির কোনো ক্ষতি হয়নি।
[৪] অপরদিকে, দৌলতখান উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের ভিতর চাপা পড়ে মাইশা নামের ৪ বছেরর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মাইশা একই এলাকার প্রতিবন্ধী মমিনের মেয়ে।
[৫] এছাড়া বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর নামের এক ঘরচাপায় নিহত হয়েছে।
[৬] ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।
[৭] ঝড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বেড়িবাঁধ ধসে প্লাবিত হয়ে অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ঝড় বাতাসে গাছ পালা উপরে পড়ে বিদ্যুতের লাই ছিড়ে গত রোববার সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে জেলাবাসী।
[৮] ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ব্যাপক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। গবাদিপশু গরু, মহিষ, হাঁস মুরগি, ছাগল,পুকুরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। পানের বরজ ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে চর অঞ্চলের মানুষ এখনো অনেকে জোয়ারের পানিতে আটকা পড়ে আছেন। সম্পাদনা: হ্যাপী
প্রতিনিধি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :