শিরোনাম
◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে ◈ আমি ইন্ডিয়া জোটেই আছি: মমতা  ◈ হিজবুল্লাহ’র হামলায় ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে: গ্যালান্ট ◈ কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের (ভিডিও) ◈ ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, ৮ জনের প্রাণহানি ◈ তাপপ্রবাহ কমে বৃষ্টি ও ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:০৩ বিকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:০৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে নকল জুস তৈরির কারখানায় অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা 

ফরিদপুর প্রতিনিধি: [২] শিশুখাদ্য ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর শহরের মামুদপুর এলাকায়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস। 

[৩] তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মো. লিটন মিয়া। সেখান থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে আদালত। অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি। 

[৪] শনিবার (০৪ মে) দুপুরে দিকে ফরিদপুর পৌর শহরের মাহমুদপুর এলাকায় জুসের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম।

[৫] ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের মধ্যে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই চলছে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে জুস তৈরি। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল এবং রঙ ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস। 

[৬] আদালত সূত্রে জানা যায়, কেমিক্যাল দিয়ে জুস বানিয়ে ফলের জুস হিসেবে বাজারজাত করছে পৌরশহরের মাহমুদপুর এলাকার একটি বাড়িতে গোপন কারখানায়। অভিযানকালে ওই বাড়িতে উপস্থিত হলে দেখা যায়, ভেতর থেকে বাড়ির দরজা আটকানো। দরজায় কড়া নাড়লেও খোলা হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর দরজা খোলার পর ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেলো কয়েকজন নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন। নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস। জুসের বোতলে বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর লেভেল লাগানো হচ্ছে। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক এ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ঔষধও বোতলজাত করা হচ্ছে। 

[৭] কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে আসেন রাতে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন। 

[৮] অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ০৪ ড্রাম ভর্তি পানীয়, ০৭ হাজার লেভেল, খালী বোতল ৫ হাজার, ৪ হাজার চকলেট, রোবো লেভেল ৩ হাজার, স্পিড রোবো লেভেল ১০ হাজার সহ বিপুল পরিমান নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়।

[৯] তিনি জানান, পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে জব্দকৃত মালামাল। এছাড়া কিছু মেশিনারিজ রয়েছে সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানার মালিক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সম্পাদনা: এআর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়