শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের অনুরোধে দিল্লির প্রতিক্রিয়া—‘ভারতের ভূমি অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয় না’ ◈ আগস্টের পর থেকে মার্কিন দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ পরিচালনা হচ্ছে: ফরহাদ মজহার ◈ নতুন অভিবাসন নীতিছ আমেরিকা-বিরোধী মানসিকতা প্রমাণ হলে ভিসা বাতিল ◈ নোয়াখালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচি, সংঘর্ষ-সড়ক অবরোধ, আহত ৫ ◈ পাঁচ দিন সাগরে ভেসে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন জেলে মোরশেদ ◈ চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং, মানুষের মাঝে স্বস্তি ◈ ভারতে থাকা আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক অফিস বন্ধের আহ্বান ◈ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ◈ একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে ◈ সীমান্ত বিরোধ মেটাতে চীন-ভারত বৈঠকে যে আলোচনা হলো

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:১৮ দুপুর
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জেট ফুয়েল বকেয়া নিয়ে সংবাদে বিমানের প্রতিবাদ, ৯৩৭ কোটি টাকার মুনাফা আন্তর্জাতিক নীতিতেই গণনা দাবি

জেট ফুয়েলের ২১০০ কোটি টাকা বকেয়া রেখে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মুনাফা ঘোষণা বিমানের— প্রকাশিত এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

মঙ্গলবার বিমানের পাঠানো প্রতিবাদে দাবি করা হয়, সংবাদে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে এবং জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে।

প্রতিবাদলিপিতে বিমান উল্লেখ করেছে, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৯৩৭ কোটি টাকা অনিরীক্ষিত মুনাফা অর্জন করেছে। এই মুনাফা গণনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাবরক্ষণের বকেয়া ভিত্তি (Accrual Basis of Accounting) নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। এই নীতি অনুযায়ী, আয় এবং ব্যয়কে নগদ লেনদেনের সময় নয় বরং যখন তা সংঘটিত হয় তখন হিসাবের মধ্যে ধরা হয়। সুতরাং, লাভ-ক্ষতির হিসাব নির্ভর করে আয়ের বিপরীতে ব্যয়ের প্রকৃত পরিমাণের ওপর, প্রদেয় অর্থ বা নগদ লেনদেনের ওপর নয়।’

প্রতিবেদনে জেট ফুয়েল বাবদ ২১০০ কোটি টাকা বকেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, এই দায় পরিশোধ না করেই বিমান মুনাফা ঘোষণা করেছে। প্রতিবেদনে মূলত দুটি স্বতন্ত্র আর্থিক ধারণাকে পরস্পরের সঙ্গে মিশ্রিত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুনাফা হলো একটি আর্থিক বছরে আয় থেকে ব্যয় বাদ দেওয়ার পর অবশিষ্ট অর্থ, যা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কতটা লাভজনক তা নির্দেশ করে এবং এটি লাভ এবং ক্ষতির বিবৃতিতে প্রদর্শিত হয়। অন্যদিকে, প্রদেয় হিসাব হলো ভবিষ্যতে পরিশোধযোগ্য অর্থ বা দায়, যা ব্যালান্স শিটে প্রদর্শিত হয়। একটি হলো আর্থিক ফলাফল, অন্যটি হলো আর্থিক দায়— এই দুটি ভিন্ন বিষয়কে একত্রে বিবেচনা করা সম্পূর্ণ ভুল এবং হিসাববিজ্ঞানের মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

প্রতিবাদলিপিতে বিমান আরও উল্লেখ করেছে, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডসহ সব সরবরাহকারীর প্রাপ্য নিয়মিত পরিশোধ করে। তবে, কোনো নির্দিষ্ট সময়ে প্রদেয় দায় থাকা মানেই যে তা প্রতিষ্ঠানের মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে, তা হিসাববিজ্ঞানের মৌলিক নীতির পরিপন্থি। কারণ দায় বা বকেয়া আলাদা একটি আর্থিক উপাদান, যা মুনাফার হিসাবের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের ঘোষিত ৯৩৭ কোটি টাকার মুনাফা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাববিজ্ঞান নীতির ভিত্তিতে গণনা করা হয়েছে এবং বর্তমানে তা বাংলাদেশের স্বনামধন্য নিরীক্ষা কোম্পানির দ্বারা নিরীক্ষাধীন রয়েছে।’

প্রতিবেদনে এ বিষয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, সংশোধিত প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকদের বিভ্রান্তি দূর করবে এবং ভবিষ্যতে তথ্য যাচাই ছাড়া এমন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকবে।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। সংবাদে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়া ও পাওনা টাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়