শিরোনাম
◈ কল‌ম্বো টে‌স্টে বাংলা‌দে‌শের বিরু‌দ্ধে ২১১ রা‌নের লিড নি‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের বিষয়গুলো স্পষ্ট করার দাবি সালাহউদ্দিনের ◈ ফের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা  ◈ বিরোধীদের দমন নয়, অংশগ্রহণই গণতন্ত্রের চাবিকাঠি: দ্য ইকোনমিস্ট ◈ আরাকান আর্মির সাথে 'লড়াইয়ের প্রস্তুতি' নিচ্ছে রোহিঙ্গারা: একটি সরেজমিন প্রতিবেদন ◈ মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহ ◈ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি: যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাবের নেপথ্যে ◈ হঠাৎ মাঝ আকাশ থেকে  সিঙ্গাপুরগামী বিমানের জরুরি অবতরণ ◈ সামাজিক ব্যবসা সারা বিশ্বকে বদলে দিতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা ◈ চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকার ভূমিকা নিয়ে সতর্ক নয়াদিল্লি: ‘নিবিড় নজর’ রাখছে ভারত

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ দুপুর
আপডেট : ২৭ জুন, ২০২৫, ০৬:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেললাইন, নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু

যমুনা সেতু থেকে রেলসেতুর রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে যমুনা সেতুর টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার দিক থেকে রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে ফেলার কাজ শুরু করে সেতু বিভাগ কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে গত ১৮ মার্চ থেকে যমুনা সেতুর ৩ শ মিটার বিপরীতে নির্মাণ করা যমুনা রেলসেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ কারণে যমুনা সেতুতে সড়ক সেতুর পাশাপাশি স্থাপিত রেলসেতু রেল চলাচলে আর প্রয়োজন নেই। 

এ ব্যাপারে গতকাল যমুনা রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো: মাসুদুর রহমান বলেন, সেতু বিভাগ রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছে। রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শেষ হলে সমুদয় মালামাল রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। রেললাইন সরিয়ে ফেলার পর ওই স্থানটি কি করা হবে, জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষ সড়ক সেতু বর্ধিত করার জন্যই রেললাইন সরিয়ে ফেলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা নদীতে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের মধ্যে ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ওই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। পরবর্তীতে যমুনা সেতুতে রেল সংযোগের দাবিতে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন রেল বিভাগ আন্দোলন করে। এর প্রেক্ষিতে সরকার তাৎক্ষনিকভাবে যমুনা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা দেয়। বিদ্যমান সড়ক সেতুর উত্তরপাশ দিয়ে লোহার এঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেলসেতু। 

২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। দ্রুত গতিতে ট্রেন চলাচলের কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল ধরে। পরে ট্রেন চলাচলের গতিসীমা করা হয় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। এতে একটি ট্রেনকে সেতু পার হতে ২২ মিনিট সময় লাগে। এ কারণে সেতুর দুই প্রান্তে ট্রেনের জট বেঁধে যায়। এই সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২০ সালে যমুনা সেতুর ৩শ মিটার উজানে সমান্তরাল পৃথক রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় সরকার। 

জাইকার অর্থায়নে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতু। গত ১৮ মার্চ থেকে রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে পুরাতন যমুনা সেতুর রেললাইন সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নেয় সেতু বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে রেললাইন সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়। ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়