শহীদুল ইসলম: রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় রোববার সকালে বিস্ফোরণ হওয়া ভবনে যে মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এমন বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য শক্তিশালী এক্সপ্লোসিভ দরকার। একই সাথে ঘটনার সাথে বিস্ফোরক কোন পদার্থের আলামত পায়নি বলে জানিয়েছে সোনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের প্রধান মেজর কায়সার বারী তুষার।
রোববার বিকেলে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের তদন্ত শেষে এ কথা জানায়। প্রতি দলের প্রধান মেজর কায়সার বারী তুষার বলেন, সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সেনাবাহিনীর কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের দুটি পৃথক দল ঘটনাস্থলে কাজ করেছে। সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরক কোন পদার্থের আলামত পায়নি সেনাবাহিনী, তবে এমন বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য শক্তিশালী এক্সপ্লোসিভ দরকার।
এদিকে আগে কেমিক্যাল রেসপন্স টিমটি বেলা তিনটার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কাজ শেষ করে দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের অবস্থা এখন পর্যন্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ; বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। ভবনটির তিন তলায় ছোট ছোট অফিস ছিল এবং একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিস ছিল।
এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। বিস্ফোরণে দগ্ধসহ আহত হয়েছেন ৫০ জন। এর মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের মধ্যে দগ্ধ পাঁচজনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আর গুরুতর আহত নয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বিস্ফোরণের এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এসআই/এএ