বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির সংগীত বিদ্যাপীঠ ছায়ানট ভবনে আন্দোলনকারীরা প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। সিসি ক্যামেরা-ভবনের দরজা, জানালা ও অন্যান্য সরঞ্জাম এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কম্পিউটার, ল্যাপটপ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে এসময়। আগুন দেন ভবনের বাইরে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৬ তলা ভবনটির নিচ তলায় আগুন লাগানোর চিহ্ন রয়ে গেছে। তোশক, তবলা, চেয়ার, হারমোনিয়াম সবকিছু ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। দোতলা থেকে ছয়তলার প্রতিটি কক্ষে থাকা সব জিনিসপত্র, বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন কর্মী জানান, হামলা ভাঙচুরে অফিসের দলিল ও শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙচুর করা হয় সভাপতির কক্ষ, বিদ্যায়তন, রমেশ চন্দ্র স্মৃতি মিলনায়তন, মূল মিলনায়তন, শৌচাগার।
তিনতলার একটি কক্ষে হারমোনিয়াম ও স্তুপাকারে রাখা কিছু বই পোড়ানো ছিল। সনজীদা খাতুন ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পেইন্টিংটি কেটে ফেলা হয়েছে।
রাত সোয়া তিনটায় ছায়ানট কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।
ছায়ানটে হামলার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী সমকালকে বলেন, আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানটের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। ছায়ানট স্থির প্রত্যয়ে যাত্রায় অবিচল থাকবে।
এর আগে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর একদল লোক শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে ঘেরাও ও বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোটা নিয়ে কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর তারা ডেইলি স্টার ভবনে গিয়ে হামলা ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয়। ভবনটির নিচের তিনটি তলায় যখন আগুন জ্বলছিল, তখন প্রাণ বাঁচাতে সংবাদকর্মীরা ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে আটকে পড়া সংবাদকর্মীদের ক্রেন ব্যবহার করে উদ্ধার করা হয়।