শিরোনাম
◈ চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস এডিবির: রফতানি-উৎপাদনে ধীরগতির প্রভাব ◈ দেশে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, ব্যাংক খাতের ৮০% অর্থ নিয়ে গেছে: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক পাঁচ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার ◈ ওজন কমাতে র‍্যাব কর্মকর্তাকে যে উপদেশ দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বড় ইভেন্টে ঝুঁকি, ভারতের সেই মাঠ থেকে সরে যেতে পারে বিশ্বকাপ ◈ মানব বীর্য প্লাজমার প্রতিক্রিয়ায় লিথুয়ানিয়ান নারীর গর্ভধারণে ব্যর্থতা! ◈ মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজ নিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা ◈ নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি: কিছু জেলায় আবারও বন্যার শঙ্কা ◈ বিমানবন্দর থেকেই আরও ৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া ◈ গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, হাতেনাতে ৫ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৫, ০৫:৫৯ বিকাল
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা:  এবার মুখ খুললেন তার স্ত্রী (ভিডিও)

রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দীনকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিরা এখনো অধরা থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবার। চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে সাহিনুদ্দীনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দ্রুত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

সম্প্রতি ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে নিহত সাহিনুদ্দীনের স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই আকুতি জানান। তিনি বলেন, তার স্বামীর ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা করে আসছিল। তারা ব্যবসার অংশীদারত্ব অথবা প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তার স্বামী এতে রাজি না হওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, "সমস্যার সমাধান করার কথা বলে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কথা বলার এক পর্যায়ে তার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিটফোর্ডের তিন নম্বর গেটের কাছে নিয়ে বড় পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়।"

নিহতের স্ত্রী আরও জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল হোতাদের অনেকেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি টিটু, রাকেশ, কাইয়ুম মোল্লাসহ মূল আসামিদের নাম উল্লেখ করে বলেন, "যতদিন তারা বাইরে থাকবে, ততদিন আমরা আতঙ্কে থাকব। আমি আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্কুলে যেতে পারছি না, ভয়ে ঘরের বাইরে বের হতে পারছি না। আমার স্বামীর দোকান বন্ধ, আমাদের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে ভীষণ কষ্টের মধ্যে আছি।"

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, "যারা এমন নিষ্ঠুরভাবে একজন মানুষকে হত্যা করতে পারে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। আমি চাই না আমার মতো আর কোনো বোন বিধবা হোক, আমার ছেলেমেয়ের মতো আর কোনো শিশু এতিম হোক।"

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি এখন ন্যায়বিচার ও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তারা মনে করেন, সকল খুনি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আতঙ্ক কাটবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়