আবছার তৈয়বী, ঢাকা : ঐতিহাসিক গাদীরে খুম দিবস স্মরণে আয়োজিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বক্তারা বলেছেন, মওলা ইমাম আলী (আ.) অতুলনীয় জ্ঞান ও মর্যাদার অধিকারী, যিনি যুগে যুগে সত্য সন্ধানীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
শনিবার (২১ জুন) ঢাকার বিএমএ অডিটোরিয়ামে ‘আনজুমানে মুহিব্বীনে আহলে বায়ত (আ.)’ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘মওলা ইমাম আলী (আ.) আন্তর্জাতিক কনফারেন্স’।
বক্তারা বলেন, বিদায় হজের পর ফেরার পথে প্রিয়নবী (সা.) গাদীরে খুমে সাহাবিদের সম্মুখে ঘোষণা দেন— “আমি যার মওলা, আলী তার মওলা।” তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন— “হে আল্লাহ, আপনি তাকে ভালোবাসুন, যে আলীকে ভালোবাসে, আর তাকে অপমান করুন, যে আলীকে অপমান করে।”
বক্তারা আরও বলেন, পবিত্র আহলে বায়তের (আ.) আনুগত্য ও ভালোবাসা ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভাজন দূর করে ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আহলে বায়তের আদর্শ অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।
কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা শায়খ নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া এবং সঞ্চালনায় ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ নূরুল আবছার তৈয়বী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য থেকে আগত শায়খে তরিকত আহসানুল উলামা সৈয়দ শাহ মুহাম্মদ আহসান আশরাফ আশরাফী জিলানী। আন্তর্জাতিক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজমীর শরীফের সৈয়দ গোলাম আম্বিয়া চিশতী, সৈয়দ গোলাম দস্তগীর চিশতী এবং সৈয়দ আতিফ কিবরিয়া চিশতী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ সায়ীদ আনোয়ার মুবারকী, পীরে তরিকত শাহ সারোয়ার মোস্তফা আবুল উলায়ী, পীরে তরিকত আল্লামা আবদুল কুদ্দুছ মিজবাহ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) খুরশিদ আলম। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আহসানুল হাদী, ড. সৈয়দ এমদাদ উদ্দীন নিজামপুরী, অধ্যাপক নূরে আলম মুহাম্মদী, মুশতাক আহমদ পাঞ্জাতনী, আমিনুল এহসান ফেরদৌস আল কদমী প্রমুখ।
কনফারেন্সে পবিত্র আহলে বায়ত (আ.) নিয়ে গবেষণা, লেখালেখি ও প্রচারে অবদানের জন্য ‘পাক-পাঞ্জাতন সম্মাননা’ প্রদান করা হয় পাঁচ গুণী ব্যক্তিকে।
সমাপ্তি পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ ও কিয়াম এবং দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত। শেষে ‘খায়রাতে পাঞ্জাতন’ তবারুক বিতরণ করা হয়। হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।