শিরোনাম
◈ ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের দোরগোড়ায় বাংলাদেশ নারী দল ◈ বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে ইসি'কে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান ◈ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে একযোগে কাজের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা করবে নৌবাহিনী: নৌ উপদেষ্টা ◈ গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: ট্রাম্প বললেন, ইসরায়েল ‘প্রয়োজনীয় শর্তে’ সম্মত ◈ দেশের ৩২ বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান ◈ নতুন মূল্য নির্ধারণ এলপি গ্যাসের  ◈ আগামী এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল ◈ ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি ◈ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে জাতীয় সনদে পৌঁছার আশাবাদ আলী রীয়াজের

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২৫, ০৫:৩১ বিকাল
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ২ বোন হত্যা, মাস্ক-ক্যাপ পরা সেই ব্যক্তি গ্রেফতার

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যার ঘটনায় বাসার সিসিটিভিতে দেখা যাওয়া অপরিচিত এক ব্যক্তিকে খুঁজছিল পুলিশ। তার মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ ছিল। তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। সোমবার দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতার তরুণ নিহতদের ছোট বোনের ছেলে। তার নাম গোলাম রব্বানী ওরফে তাজ (১৮)। রোববার গভীর রাতে ঝালকাঠির সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রাম থেকে রব্বানীকে গ্রেফতার করে ডিবি।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, আজ বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত শুক্রবার বিকালে বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় (সিসিটিভি) দেখতে পাওয়া ব্যক্তিটিই গোলাম রব্বানী। তিনি হত্যার শিকার মরিয়ম বেগম ও সুফিয়া বেগমের ছোট বোনের ছেলে। তিনি তার দুই খালাকে হত্যা করেছেন।

গত শুক্রবার ৬৪৯ পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাড়িটির দোতলায় একটি ফ্ল্যাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমকে (৫২) ছুরিকাঘাত, শিলনোড়ার আঘাতে হত্যা করা হয়। সেদিন রাত ১১টার দিকে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।

ওই পুলিশ আরও জানান, রব্বানী মা-বাবার সঙ্গে রাজধানীর শনির আখড়ায় থাকেন। টাকার জন্য তিনি পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় তার বড় খালা মরিয়ম বেগমের বাসায় যান। সেখানে মরিয়মের আরেক বোন সুফিয়া বেগম থাকতেন। তারা রব্বানীকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি ছুরিকাঘাত ও শিল-নোড়ার আঘাতে দুই খালাকে হত্যা করেন। পরে তিনি তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। গোলাম রব্বানী মোবাইল ফোনে আসক্ত। উগ্র আচরণে কারণে এর আগে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ঘটনার পরদিন মরিয়মের স্বামী বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা কাজী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে রাজধানীর মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়